নবনির্মিত মাঝেরহাট ব্রিজ উদ্বোধনে গিয়ে রেলকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেঙে পড়ার দু’বছর পর নতুন রূপে তৈরি করা হয়েছে ব্রিজ। শুধু তাই নয় নবনির্মিত ব্রিজের নাম জয়হিন্দ ব্রিজ। আর সেই ব্রিজ উদ্বোধন করতে গিয়ে মমতা বলেন, রেলের জন্যই ৯ মাস দেরি হল ব্রিজ উদ্বোধনে। তারপরেই বিজেপির নাম না করে তিনি বলেন, দিল্লিতে বসে যারা কলকাঠি নাড়ছে তারাই এরজন্য দায়ি। সেইসঙ্গে মমতার হুঁশিয়ারি দাঙ্গা করবেন না, বেহালাকে বেহাল করবেন না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রেলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, রেলের কাছে বারবার দরবার করতে হয়েছে। আরও বলেন, ব্রিজের জন্য রেল রাজ্যের কাছ থেকে ৩৪ কোটি টাকা নিয়েছে। রেল কেন আমাদের থেকে টাকা নেবে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তারপরেই পারলে টাকা ফেরতের দাবি তোলেন মমতা। পোর্ট ট্রাস্টও 77 লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে কলকাতায় একাধিক ব্রিজ তৈরির ঘোষণা ঘোষণা করেন তিনি। ব্রিজ তৈরি হলে ট্রাফিক জ্যাম কমবে বলেই মত তাঁর। এদিন উদ্বোধনের পর নিজেই হেঁটে ব্রিজ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান দেখতে এদিন বিকেল থেকেই উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে আঁটোসাঁটো ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, নব নির্মিত ব্রিজের বহন ক্ষমতা অনেক বেশি। ব্রিজটি সর্বোচ্চ ৩৮৫ মেট্রিক টন ভার নিতে পারবে। দৈর্ঘ্য ৬৩৬ মিটার। চওড়া ১৬ মিটার। 4 লেনের করা হয়েছে ব্রিজ। এছাড়াও থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। যেমন- অতিরিক্ত ওজন ব্রিজের ওপর পড়লে তা জানিয়ে দেবে সেন্সর। পুলিশ সূত্রে খবর, অতিরিক্ত ওজন হলে সেন্সরের মাধ্যমে সরাসরি সিগন্যাল পৌঁছে যাবে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে। সেই সিগন্যাল পেয়েই যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে থাকছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। থাকছে একাধিক ক্যামেরা।