দুদিনের সফরে বোলপুর গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বভারতীর একটি রাস্তা ফেরত নেওয়া হচ্ছে। যেটা পি ডব্লিউ ডির রাস্তা যেটা নিয়ে পাঁচিল তৈরি করার জন্য বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর কথার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে নিজের জমিদারী মনে করেন? কাকে কি দিয়ে দেবেন। কি নিয়ে নেবেন। জমি বাড়ি জায়গা দিয়ে দিচ্ছেন। হরিশ চ্যাটার্জি রোড দখল হয়ে গিয়েছে। যা ব্যানার্জি রোড হয়ে গিয়েছে। এখানকার জমি বাড়ি কি ওনার সম্পত্তি? একটা বিশ্ব বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি, যার সঙ্গে বাঙালি এবং ভারতবর্ষের সম্মান জড়িয়ে আছে সেটা নিয়ে ছেলে খেলা করা হচ্ছে। কিছু বললেই নতুন ইস্যু তৈরি করে কখনো অমর্ত্য সেনকে কখনো কাউকে সামনে নিয়ে আসছেন। আসলে তাদের না তো এডমিস্টেশন আছে, না পার্টি চালাতে পারছেন। পার্টি ভেঙে যাচ্ছে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/12/883486-dilip-ghosh-1024x576.jpg)
পাশাপাশি এদিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, আমি জানি না কে কার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখন রাজনৈতিক যে কম্পলসর এসে গিয়েছে পরস্পরকে জড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এটা হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বোকা বানিয়ে কাজ করেছেন।
এদিন সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে
আরও বেশকিছু ইস্যুতে সুর চড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। গতকাল দিল্লিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অমিত শাহের দেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু সৌরভ গিয়েছিল অরুণ জেটলির মূর্তির উদ্বোধন ছিল। দেখা হলেও হতে পারে। এটা রাজনৈতিক ব্যাপার নয়। প্রসঙ্গত বেশকয়েকদিন ধরেই বাইশ গজের বাইরে সৌরভের রাজনৈতিক ময়দানে এমনকি বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আইপিএস বদলির লিস্ট নিয়েও সরব হন তিনি। দিলীপ বলেন, এটা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে টানাটানি চলছে। এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। কেন্দ্রীয় সরকার যখন ওদেরকে ডেপুটেশনে ডেকেছে যেতে হবে আজ হোক বা কাল হোক।