ঝারখান্ডকে বাঁচাতে রাতারাতি জল ছেড়েছে ডিভিসি। প্লাবিত হয়েছে বাংলার একাধিক গ্রাম। জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ডিভিসির তরফে মোট ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তাছাড়াও মাইথন থেকে ৮০ হাজার কিউসেক, এবং পাঞ্চেত থেকে প্রায় ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা স্বভাবতই চিন্তায় ফেলেছে রাজ্য সরকারকে। আর সেই কারণেই ইতিমধ্যে বন্যাপ্লাবিত এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে আগামীকাল আকাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আকাশপথে পরিদর্শনে যেতে পারেন তিনি। যদিও এই বন্যাকে তিনি মনুষ্য সৃষ্ট বন্যা বলেই দাবি করেছেন । রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়ার জন্য ডিভিসির ওপরে যথেষ্টই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন ,’এর আগেও ডিসির সঙ্গে বহুবার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও রকম কোনো সুরাহা হয় নি তাতে। তবে এবার ঝারখন্ডকে বাঁচাতে গিয়ে অধিক পরিমান জল পশ্চিমবঙ্গের দিকে ছেড়ে দিয়েছে ডিভিসি। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্যে একাধিক গ্রামের গ্রামবাসীদের।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাতারাতি জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সঠিক স্থানে পৌঁছাতে পারেননি গ্রামবাসীরা। কোথাও কোথাও খরস্রোতা নদীর বুক চিরে সাঁতার কেটে সামান্য ডাঙ্গার সন্ধান করতে দেখা যাচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষদের । কোনও কোনও গ্রামে ইতিমধ্যেই সমস্ত মাটির বাড়ি গুলিকে গলতে দেখা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই হাওড়া , পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। সেই কারণেই আগামীকাল আকাশপথে পরিদর্শনে বেরোতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়েছে উক্ত এলাকাগুলিতে।