নয়া কৃষি আইন নিয়ে যখন কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল উত্তর ভারত, ঠিক সেই সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী থেকে ফের কৃষকদের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তীব্র ভাষায় কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ শানালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের সঙ্গে ছলনা করছে বিরোধীরা। নয়া আইন কৃষকদের হাত শক্তিশালী করেছে, তাদের আইনি সুরক্ষা দিয়েছে। বারাণসী থেকে প্রয়াগরাজ ছয় রাস্তা বিশিষ্ট হাইওয়ে চালু করার সময় চাষীদের উদ্দেশে একথাই বলেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি তাঁদের উদ্দেশ্য গঙ্গাজলের মতো পবিত্র। তাঁর কথায়, ‘‘নয়া কৃষি আইন কতটা কাজের, তা আগামী দিনে বোঝা যাবে। দশকের পর দশক ধরে ছলচাতুরি করা দলগুলি কৃষকদের বন্ধু নয়। কিন্তু এ বার ছল করে নয়, গঙ্গাজলের মতো পবিত্র ইচ্ছা নিয়ে ময়দানে নামা হয়েছে।’’ বিরোধীরা২৪ ঘণ্টা মিথ্যা কথা বলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আরও বলেন, যে ভারতের কৃষিপণ্য সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত। তবে পুরনো পদ্ধতি অনুযায়ী যারা কেনাবেচা করতে চান, সেটা তো বন্ধ করা হচ্ছে না, বলেই জানান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের নাম না করেই পিএম কিষান যোজনা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাকে এদিন হাতিয়ার করেন মোদি। তিনি বলেন প্রতিশ্রুতি মতো তাঁরা স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশও মেনেছেন। এরপর ইউপিএ আমলের সঙ্গে তাদের জমানায় চাষীদের জন্য কি কি করা হয়েছে, সেটার তুলনা মানুষের কাছে তুলে ধরেন তিনি।
প্রসঙ্গত এদিন দেব দীপাবলি উপলক্ষ্যে দিনভর বারাণসীতেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গঙ্গাবক্ষে ক্রুজ বিহার করে ডোমারি ঘাট থেকে ললিতা ঘটে যান মোদি। সেখান থেকে তিনি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যান। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে গর্ভগৃহে আরতি-মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজো দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যায় দেব দীপাবলিতে প্রথম দীপ প্রজ্জ্বলন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬ লক্ষ দিয়ার আলোয় ঝলমল করে রাজঘাট। এদিন কাশীর রাজঘাটে দেব দীপাবলি মহোৎসবের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।