অনুব্রত মণ্ডলের আয়ের পরিমাণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে। গরু পাচার থেকে ১২ কোটি ৮০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২৩৭ টাকা অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল, কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও তাঁদের বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রত, সুকন্যা ও মণীশ কোঠারিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইডি।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/04/WhatsApp-Image-2023-04-30-at-15.13.07-1024x576.jpeg)
৬ মার্চ অনুব্রতকে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছিল ইডি। তার ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দায়ের করতে না পারলে স্বাভাবিক নিয়মে অনুব্রত জামিন পাওয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানাতে পারতেন। ৬০ দিনের মেয়াদ শুক্রবারই শেষ হচ্ছে। তার আগে, ৫৯-তম দিনের মাথায় ২০৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট দায়ের করে ইডি। চার্জশিটে ইডির দাবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদে অর্থ জমার পাশাপাশি গরু পাচারের টাকাতেই অনুব্রত ১.৫১ কোটি টাকা খরচ করে স্ত্রী-কন্যার নামে ভোলে বোম রাইস মিল কিনেছিলেন। সুকন্যা ও বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে ২.৪২ কোটি টাকায় নীড় ডেভেলপার নামের সংস্থা কেনা হয়েছিল। সে টাকাও এসেছিল গরু পাচারের আয় থেকে।
সুকন্যা ও বিদ্যুতের নামেই এএনএম অ্যাগ্রোকেম নামের আর একটি সংস্থা মাত্র ১ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। বাকি টাকা গরু পাচারের আয় থেকে বেনামে লেনদেন হয়েছিল। ইডির দাবি, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে অনুব্রত এনামুল হককে গরু পাচারে সাহায্য করতেন।
অন্যদিকে, তিহাড়ে একই জেলে থেকেও এখনও দেখা হয়নি দু’জনের! কেন? মেয়ে সুকন্যা গ্রেফতারিতে এবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল। আদালতে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে বললেন, ‘আপনাদের বিবেক বলে কিছু নেই’? মেয়েটাকেও গ্রেফতার করলেন’! গরুপাচারকাণ্ডে জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ। এদিন দিল্লি রাউস এভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। তখনও শুনানি শুরু হয়নি। জেলের কোর্ট রুমে হুইল চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছিলেন কেষ্ট। এরপর কোর্ট রুমে ঢোকেন ইডি-র আধিকারিকরা। সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারও।