নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর : পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পালকে ফোন করে এবার তৃণমূলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানালেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই ফোন পাওয়া মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহবানকে কার্যত নস্যাৎ করে দেন প্রলয় পাল।
এদিন এই ফোনকল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রলয় পাল বলেন, “দেখুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জি প্রার্থী হয়েছেন। আর ওনার আজকে গিয়ে আমার কথা মনে পড়েছে, তাই ফোন করেছেন। আমার সমর্থন চাইছেন, যাতে আমি যেন উনার দলের হয়ে কাজ করি এবং ফিরে যাই। কিন্তু আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি করি, আমরা দেশের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। আর আমার প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যখন সিপিএমের চরম অত্যাচার, তখন সমস্ত কর্মীরা যারা আক্রান্ত হত, তাদের পাশে কিন্তু দাঁড়িয়েছেন ওই অধিকারী পরিবার। আর কেউ আসেনি সেদিন। আর যবে থেকে আমি বিজেপি করি, তবে থেকে একদিনের জন্য অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে আঙুল আমি তুলিনি। তোলার সাহস পায়নি কারন ওই আনুগত্য থেকে। কোনদিন কোনকিছু পাইনি, কিন্তু তবুও কোনদিন অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার মতো স্পর্ধা আমি দেখাইনি। এর কারণ ওই পরিবার অসহায় মানুষের পাশে ছিল, সেই আনুগত্য থেকে।
আর এবার তো উনি প্রার্থী, তাই উনার জন্য তো জীবনপাত করতেই হবে। তাই দিদিকে বলেছি যে আপনার দল আমাকে রেসিডেন্ট দেয়নি। একজন নাগরিক হিসেবে যেটা পাওয়ার আমার অধিকার ছিল। অতএব আপনি দাঁড়িয়েছেন দাঁড়ান। আর আমরা কোন দলের সঙ্গে কোনদিন কোন বিশ্বাসঘাতকতা বেইমানি করি না, ভবিষ্যতেও করব না। আমার পরিবারের ব্লাড সেই কথা বলে। অতএব দিদি যাই বলুক না কেন, আমরা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য লড়াই করছি, লড়াই করব এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে অন্তত ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক হিসেবে নবান্নে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমি নিয়েছি এবং আমি সেটা করে দেখাবো।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,ফোন কল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মমতা ব্যানার্জির কাছে তৃনমূল কংগ্রেস করাকালীন নিজের রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দেন প্রলয় পাল। যদিও, ওই ফোনকলের সত্যতা কোনোভাবেই যাচাই করে দেখেনি এম ভারত নিউজ। এই কল রেকর্ডিংটি বিভিন্ন সূত্র মারফত আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে, যা আমরা জনসাধারণের কাছে তুলে ধরছি। এখন এটাই দেখার, প্রলয় পালের সাহায্য ছাড়া নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা ব্যানার্জি জিততে পারেন কিনা।