ড্যানিশ প্রাচীর চূর্ণ করা সহজ ছিল না ইংল্যান্ডের জন্য। তবে সেই ইস্পাতের প্রাচীর ভেদ করেই ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ১২০ মিনিটের শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াইয়ের পর ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতা থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি গোলে জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। ১২ জুলাই ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইতালি। ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়েই খেলেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ডেনমার্কের রক্ষণ আর গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেল বারবারই প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশিরভাগ সময়।
চার মিনিট পর প্রায় একইরকম লম্বা পাস থেকে বল একাই বক্সে পেতে যাচ্ছিলেন ডেনমার্কের মিকেল ড্যামসগার্ড। কিন্তু ইংলিশ রক্ষণে আটকে যায় তার সে চেষ্টা। ২৪ মিনিটে ড্যামসগার্ডের আরেকটি জোরালো শট পোস্টের ওপরের দিক ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ড্যামসগার্ডই ড্যানিশদের মুখে হাসি ফোটান ৩০ মিনিটে। বক্সের অনেক বাইরে থেকে চোখ ধাঁধানো এক বাঁকানো ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাত লাগাতে পারলেও আটকাতে পারেননি বল (১-০)। তবে খুব বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি ডেনমার্ক। ৩৯ মিনিটের মাথায় সাইমন জায়েরের আত্মঘাতী গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায়।
ইউরোয় এর আগে আর কোনো ড্যানিশ ফুটবলার আত্মঘাতী গোল করেননি। চলতি ইউরোয় এই নিয়ে মোট ১১টি আত্মঘাতী গোল হলো। আগের সবক’টি ইউরো মিলিয়ে মোট ৯টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল।ভার চেক করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ড্যানিশ গোলরক্ষক স্মাইকেল সেই পরীক্ষাতেও উৎরে যাচ্ছিলেন প্রায়। হ্যারি কেইনের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু মুহূর্তেই ফিরতি বল পেয়ে বাঁ দিক দিয়ে জালে ঢুকিয়ে দেন হ্যারি কেইনই। আর ওই এক গোলই ইংল্যান্ডের ৫৫ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে দেয়।