মাত্র কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে মায়ের। এবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বাবাও। এই ভয়াবহ মৃত্যুশোক সামলাতে না পেরে বাবার চিতাতেই ঝাঁপ দিল মেয়ে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বারমার জেলায়৷ মঙ্গলবার ৭৩ বছর বয়সী দামোদরদাস শারদা মারা যান করোনায়৷ হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ দাহ করতে তাঁর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হলে বাবার শেষকৃত্যে হাজির হন তিন মেয়ে৷ তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট চন্দ্রা শারদাই ঝাঁপ দেন বাবার চিতায়৷
পরিবার সূত্রে খবর, বাবাকে ভীষণই ভালোবাসত মেয়ে। কিছুদিন আগে মায়ের মৃত্যু, আর তারপর এই পিতৃশোক, সহ্য করতে না পেরে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন বছর ৩৪ এর চন্দ্রা। হঠাৎ তিনি ঝাঁপ দেন বাবার জ্বলন্ত চিতাতেই। শ্মশানে উপস্থিত লোকজন কোনো প্রকারে চিতা থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার করার পর যোধপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন চন্দ্রার দেহের ৭০% ই পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা সংকটজনক। কোতয়ালি থানার এক পুলিশ অফিসার জানান “প্রথমে মা মারা যান৷ তারপর বাবা৷ প্রিয়জনদের পরপর মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি ছোটো মেয়েটি৷ তাই বাবার চিতাতেই ঝাঁপ দেয় সে”।