বিধানসভা ভোটের আগেই বাংলায় বড়সড় নাশকতার ছক আলকায়দার। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল ইনটেলিজেন্স ব্যুরো। তার জন্য ইতিমধ্যেই অনলাইনে জঙ্গি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে তারা। জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে একাধিক প্রথম সারির রাজনীতিবিদ। আইবির তরফে ৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জমা দেওয়া রিপোর্টে দাবি করা হয় বাংলা থেকে অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের আলকায়দা তাদের দলে টানতে বিদেশি হ্যান্ডলারদের ব্যবহার করছে। রীতিমত মগজধোলাই করে তাদের দলে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মার্চ মাসে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১১ জন জঙ্গি অপারেটিভকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা গেছে পাকিস্তানের করাচি এবং পেশোয়ারে দু’টি নিয়োগ কেন্দ্র খুলেছে আলকায়দা। সেখান থেকে বেছে বেছে বাংলার ছেলেমেয়েকে দলে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে। তবে এই প্রথম নয়, বাংলায় আলকায়দার শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে আগেও সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই সৈয়দ এম ইদ্রিস নামে যুবককে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃতের বিরুদ্ধে লস্কর হ্যান্ডলারদের সঙ্গে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় ভারতে জামাতুল মুজাহিদিনের ঘাঁটির বিষয়টি সামনে আসে। গোয়েন্দাদের দাবি, এ রাজ্যে আলকায়দার মূল শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে সালাউদ্দিনের জামাতুল মুজাহিদিন। রাজ্যে জেএমবি-র পুরনো স্লিপার সেলে থাকা সমর্থকদের ব্যবহার করেই আলকায়দা নতুন করে বাংলা থেকে ছেলেমেয়ে নিয়োগ করে বড়সড় হামলার ছক কষছে।