নারদা মামলায় হাইকোর্টের বিচার চলাকালীন ভাইরাল হল বৃহত্তর বেঞ্চের এক বিচারপতির চিঠি। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়া এই চিঠিতে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে আইন ব্যবস্থা। চিঠিতে ১৭ মে নারদা মামলার শুনানি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে একটি ই-মেইলের ভিত্তিতেই এত বড় মামলার শুনানি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কেবলমাত্র একটি ইমেইলের ভিত্তিতেই কি ভারতীয় আইন বিধি অনুসারে হাইকোর্টের ফাস্ট বেঞ্চ কোন মামলার শুনানি করতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম অনুসারে একটি ইমেইলের মারফত যদি কোনো মামলা করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রথমে মামলাটি রুজু হয় সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে। নারদা মামলার শুনানিতে প্রথমেই একটি আইনের ফাঁক থেকে যাওয়ার কথা উঠে আসছে। শুধু তাই নয় ওদিকে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে জামিন নির্দেশে স্থগিতাদেশ নিয়েও। ইমেইলে জানতে চাওয়া হয়েছে, “ট্রান্সফার পিটিশনের শুনানিতে, জামিন-নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া যায়?” শুধু তাই নয় সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে কোন দায়রা আদালতের তরফ থেকে দেওয়া জামিন আদেশের ওপর কি এইভাবে স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে হাইকোর্ট? সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আইনজ্ঞ হিসেবে, তিনি মনে করছেন বিষয়টিকেই একটি তামাশায় পরিণত করা হয়েছে। হাইকোর্টের সমস্ত বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন তাঁর ধারণা অনুসারে আগামী দিনে একটি ফুল বেঞ্চ গঠন করে এই মামলার সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হোক।