লকডাউনে দেশে কত পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন বা কত পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন, কেন্দ্রের কাছে তার কোনও তথ্য নেই। সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়াড়। মন্ত্রক জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার রাজ্যওয়ারি কোনও হিসেবও তাদের হাতে নেই। লকডাউনে হাজার হাজার শ্রমিক মারা গিয়েছেন বলে কোনো খবরও তাদের কাছে নেই। করোনা মহামারীর প্রকোপ আন্দাজ করতে সরকার কি ব্যর্থ হয়েছিল?,এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রকের বক্তব্য, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাকর্মী সহ বিভিন্ন পরিষেবায় যুক্তদের মাধ্যমে সরকার করোনা মোকাবিলা করেছে। নভেম্বর পর্যন্ত ৮০ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ৫ কেজি গম বা চাল এবং ১ কেজি ডাল বিনা পয়সায় পাচ্ছেন। লকডাউনের জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েন। বাড়ি ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজ হারিয়ে দুর্বিষহ যন্ত্রণার মুখে পড়েন পরিযায়ীরা।
যদিও পরে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে দেশের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ফেরানো হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফেরার পথে কামরাতেই খাবারের অভাব, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় বহু শ্রমিকের। কয়েকমাস আগে পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে সওয়ার একের পর এক পরিযায়ীর মৃত্যুর খবর মেলে। সোমবার লকডাউনের জেরে সেইসব মৃত ও কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকেদের ক্ষতিপূরণের দাবি সংক্রান্ত প্রশ্ন তোলেন বিরোধী সাংসদরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়াড় জানান, লকডাউন চলাকালীন কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, কতজন পরিযায়ী কর্মহীন হয়েছেন সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে। সেই কারণেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।