অবশেষে টনক নড়ল কেন্দ্রের। কৃষক সংগঠনগুলিকে আলোচনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার বিকেল ৩টেয় দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার।কৃষিমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবাদ ছেড়ে আলোচনায় বসার জন্য আমরা কৃষকদের অনুরোধ জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে প্রতিবাদস্থল সরিয়ে নেওয়া হলে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেই প্রস্তাব কৃষকরা খারিজ করে দেওয়ার পর সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের মধ্যে দু’ দফা আলোচনা হয়। আর তারপরই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অন্যদিকে, এই মুহূর্তে কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, অমৃতসর অঞ্চলের বহু কৃষক গুরপরবের জন্য থেকে গিয়েছিলেন। এবার তাঁরাও একে একে আসতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁরা দিল্লির সীমানায় এসে পৌঁছবেন। সেইসঙ্গে দিল্লি ঢোকার পাঁচটি প্রবেশপথই বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। অর্থাৎ সোনেপত, রোহতক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর এবং মথুরা হয়ে দিল্লি ঢোকার পাঁচ প্রবেশপথ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
প্রতিবাদী কৃষক নেতাদের দাবি, প্রায় ৩ লক্ষ কৃষক এই প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছেন। পাশাপাশি ৫০০ কৃষক সংগঠনের সমর্থন রয়েছে। দিল্লির বুরারি ময়দানে যে সব কৃষক অবস্থান করছেন, তাঁরা সরকার ও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে এদিন ‘রোষ মিছিল’ করেন। এসবের মাঝে রবিবার মৃত্যু হয় এক প্রতিবাদী কৃষকের। এই নিয়ে দু’ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে প্রচন্ড ঠান্ডার কারণেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় ওই কৃষকের।