বঙ্গ নির্বাচন ২০২১ এর রণক্ষেত্রে শঙ্খ বাজতে আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা । ঠিক তার আগেই কাঁথিতে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদিও এখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসেননি, এসেছেন শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে নির্বাচনী সম্প্রচারে । পাশাপাশি আজ ঐ একই মঞ্চে দেখতে পাওয়া গেল শিশির অধিকারীকেও, ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারীও। যদিও উপস্থিত ছিলেননা দিব্যেন্দু অধিকারি। বারবার বহিরাগত বলা হয় তাঁদের, আর সেই কথার পাল্টা উত্তরে আজ বললেন রবীন্দ্রনাথ মাতঙ্গিনী হাজরার জায়গায় কোন ভারতবাসীই বহিরাগত নয়। আজ শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে নির্বাচনী সম্প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন বাংলায় বিজেপি জয়লাভ করলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলারই ভূমিপুত্র। ওদিকে মমতাকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, খেলা হওয়ার সম্প্রচার তো অনেক করলেন দিদি,আমরা খেলা নয়, সেবা করতে চাই। শুধু তাই নয় নন্দীগ্রামের মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রাম থেকে জয়লাভ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকি নন্দীগ্রামের মানুষই তাঁকে ওই আসনে বসিয়েছে। আর আজ তিনি বদনাম করছেন নন্দীগ্রামেরই মানুষের নামে ।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/03/2.bmp)
গত কয়েকদিনে মেদিনীপুরের সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। যাদের পরিবারগুলোর আম্ফান ঝরে নিঃস্ব হয়ে গেছে, তাঁদের জন্য ঠিক কি করেছেন তিনি , জানতে চেয়ে কটাক্ষ মমতাকে । বিজেপির বাংলার ভোটের ইশতেহার নিয়ে দিন দুই আগেই অসমের প্রসঙ্গ এনে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই অসমের প্রসঙ্গ টেনেই মমতাকে পালটা কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন আসামে উন্নয়ন হয়েছে বাংলায় তোলাবাজিতে উন্নয়ন করেছে। ওদিকে নন্দীগ্রামে জয়লাভ উভয় দলের জন্যই প্রেস্টিজ ফাইট। তাই নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হয়েও যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজার ভোটে হারানোর দাবি জানান না কেন, লড়াইটা অতটা সহজ হবে বলে মনে করছেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই আজ বিজেপির হয়ে নন্দীগ্রামের জমি শক্ত করতে কাঁথিতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী।