আসানসোল কম্বল বিতরণকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারি। গত বছর ডিসেম্বরে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক কম্বল বিলির অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনা ঘটে যেখানে তিনজন মারা যান। সেই ঘটনায় নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। সূত্রের খবর, দিল্লির যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। নয়ডা থেকে স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে নিয়ে আগ্রা যাচ্ছিলেন জিতেন্দ্র। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।
সেই মামলার জেরে চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জিতেনের ফ্ল্যাটে যান দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা। কিন্তু ফ্ল্যাট তালাবন্ধ দেখে তাঁরা কয়েক বার নোটিসও দিয়ে আসেন। তবে তিওয়ারি দম্পতির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এই আবহে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি, তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশও দেন। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি পাল্টা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা চৈতালির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপরই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন তিওয়ারি দম্পতি। কিন্তু বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেই একই আবেদন নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন জিতেন। এরই মাঝেই গ্রেফতার হলেন আসানসোলের ওই বিজেপি নেতা। সূত্রের খবর, জিতেন্দ্র-চৈতালি একসঙ্গে থাকলেও চৈতালিকে বাদ দিয়েই জিতেন্দ্রকে ধরা হয়।
এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যার পরিবার বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে জামা কাপড় নিতে এসেছিল, সে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যাচ্ছে আইনজীবী নিয়ে জিতেন তিওয়ারিকে গ্রেফতার করতে। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যিনি আইনজীবী হন, তার কী ফিজ হয় সকলেই জানেন। যে ব্যক্তি এই টাকা দিতে পারছেন, তিনি পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে লাইন দেন কখনও? এটা পুরোপুরি তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত।”