![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/06/IMG-20230625-WA0011.jpg)
বেশ কয়েক বছর ধরেই জল্পনা কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের আগামী ছবি ইমার্জেন্সি। ছবির প্রথম লুক মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াত। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বায়োপিকে অভিনয় করছেন কঙ্গনা। প্রথমে জয়ললিতার বায়োপিকে দেখা যায় তাঁকে, ছবির নাম ছিল থালাইথি। সেখানে জয়ললিতার লুকে রীতিমতো ট্রোল থেকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। রাতারাতি ছড়িয়ে পড়া সেই ট্রোল কটাক্ষকেই এবার বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর লুকে নজর কাড়লেন অভিনেত্রী। প্রথম লুক সামনে আসতেই প্রশংসা ছড়িয়েছিল নেট পাড়ায়। প্রথম মুক্তি পাওয়ার টিজ়ারেও নজর কেটেছিলেন তিনি।
এবার ছবির আরও একটি ছবির টিজার সামনে আসতে চমকে গেলেন ভক্তরা। না, এবার কেবল লুক আদব-কায়দা, চলন-বলনেই মিলই নয়, বরং কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁর কণ্ঠস্বরও ইন্দিরা গান্ধীর মতো করার চেষ্টা করেছেন। এই টিজ়ারে তাঁর বলা মাত্র দুটি লাইনেই চমকে গেল দর্শকেরা। ঠিক যেন ইন্দিরা গান্ধিই কথা বলছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্ট বক্সে কেবলই প্রশংসার ঝড় উঠতে দেখা যায়।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/06/IMG-20230625-WA0010-1024x569.jpg)
এদিন ইনস্টাগ্রামে এমার্জেন্সির ঝলক ভাগ করে নেন কঙ্গনা রানাওয়াত। পাশাপাশি ঘোষণা করলেন ছবি মুক্তির তারিখও। চলতি বছরের শেষেই এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে নির্দিষ্ট তারিখ পাল্টে তা মুক্তি পেতে চলেছে ২৪ নভেম্বর, প্রথমে তা ২০ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে টাইগার শ্রফের ছবিও ওই একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবি প্রযোজনা ও পরিচালনাতেও রয়েছেন কঙ্গনা। অতীতে তাঁর করা শেষ দুই ছবি পরপর ফ্লপ হওয়ার পরই কোমর বেঁধে এই ছবিকে নিয়ে নেমে পড়েন কঙ্গনা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/06/emergency-movie-hindi-kangana-star-cast-first-look.jpg)
এমার্জেন্সির টিজারের শুরুতেই স্ক্রিনে ভেসে উঠল ২৫শে জুন, ১৯৭৫। পুলিশের উপর ইট বৃষ্টি করছে উত্তেজিত জনতা। রাস্তায় আগুন জ্বলছে। এরপরই সংবাদপত্রের শিরোনামে লেখা- ‘জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে’। তারপরই শোনা যায় অনুপম খেরের কন্ঠস্বর। জেলবন্দি বিরোধী দলনেতা অনুপম খের। ছবিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জয়প্রকাশ নারায়ণের চরিত্রে দেখা যাবে অনুপম খেরকে। যিনি জেপি নারায়ণ নামেই সমাধিক পরিচিত। অনুপম খেরকে বলতে শোনা গেল, ‘ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকারময় অধ্যায় এটি, এটা সরকার রাজ নয়, অহঙ্কর রাজ। এটা আমাদের নয়, এই দেশের মৃত্যু’। ইন্দিরার ‘একনায়কতন্ত্র’-এর বিরুদ্ধে এখানে আওয়াজ তুলতে দেখা গেল জেপি নারায়ণকে। তারপরই দেখা মিলল ‘ইন্দিরা’ কঙ্গনার। বলতে শোনা গেল, ‘এই দেশের রক্ষা করতে আমাকে হবেই, কেউ রুখতে পারবে না। কারণ ইন্ডিয়া মানেই ইন্দিরা, আর ইন্দিরা মানেই ইন্ডিয়া!’