অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব আগেই নিজে তুলে নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গড়ে দিয়েছিলেন ৭ জনের কমিটি। এবার ফের বীরভূম জেলা নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা। শুক্রবার বীরভূমের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এবং অনুব্রত বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয় করে জেলা তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি করেছিলেন মমতা।
গ্রেফতার হওয়ার এতদিন পার হলেও, দলের সমস্ত কর্মকাণ্ড থেকে প্রত্যক্ষভাবে বিরত থাকলেও অনুব্রতকে দলের সভাপতির পদ থেকে সরাননি মমতা। বরং বীরভূমের দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে তিনি বলেছিলেন কেষ্টকে ‘বীরের মর্যাদা’ দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। বীরভূমের দায়িত্ব সে অর্থে আর কারোর হাতে ভরসা করে ছাড়েননি নেত্রী। এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন দলনেত্রী।
অন্যদিকে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যে অখিলেশ নবীনের পর আজ কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল (সেকুলার)-র নেতা এইচডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিকেল ৪টেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা। সূত্রের খবর, কর্নাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমোকে আহ্বান জানাতে পারেন কুমারস্বামী। আগামী এপ্রিল মাসেই কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে কংগ্রেস এবং কুমারস্বামীর দল জনতা দল (সেকুলার)।
এই নিয়ে বিগত সাতদিনে তিন বিজেপি বিরোধী অ-কংগ্রেসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ এর লক্ষ্যে এক বছর আগে থেকেই কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে সম দূরত্ব রাখা আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। এবার সেই আবহেই জনতা দল সেলুলার এর নেতা কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জাতীয় রাজনীতিতে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।