পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে মন্দিরের তরফে একটি জগন্নাথের মূর্তিও উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।এর আগেও জগন্নাথের মন্দিরে এসেছেন তিনি। বুধবারও মমতা পুজো দেন। ঘুরে দেখেন গোটা মন্দির চত্বর। পুজো দিয়ে বেরিয়েই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, “মা-মাটি-মানুষের জন্য পুজো দিয়েছি। আমি চাই সকলে ভাল থাক। সুখে থাক। জীবনে আনন্দ আসুক”।
এদিন পুরীর মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ যে ধ্বজ, সেই পতাকা তোলাও নিজের চোখে দেখেছেন তিনি। মমতা জানান, পুরনো ধ্বজটি তাঁকে দিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। আর তাঁর নিয়ে যাওয়া ধ্বজটি তোলা হয়েছে মন্দিরের মাথায়। এ জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিউ পুরী এলাকায় ‘বাংলা নিবাস’ তৈরির জন্য নির্ধারিত জায়গা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে। দিল্লির বঙ্গভবনের ধাঁচে পুরীতে তৈরি হবে গেস্ট হাউস। পুরী সফরে গিয়ে সেই জমি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জমি দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”চিফ সেক্রেটারি, জেলাশাসক এখানে আমার সঙ্গে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক নিজে খোঁজ নিয়েছেন। জায়গা আমার পছন্দ হয়েছে। এখানে নয়া বিমানবন্দর হবে। একটা সেতু হচ্ছে এখানে।”
জমি পরিদর্শনের পর মমতা পৌঁছন পুরীর মন্দিরে। সেখানে ঘণ্টাখানেক ছিলেন। যদিও মমতা যখন মন্দিরে প্রবেশ করেন, তখন সেখানে অন্যান্যদের প্রবেশাধিকার বহাল ছিল। মন্দিরের সিংহ দুয়ারের কাছে মমতাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ভিতরে নিয়ে যান মন্দিরের সেবায়েতরা। বৃহস্পতিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। যদিও এদিনও মমতা দাবি করেন, এই বৈঠক শুধুই উন্নয়ন নিয়ে।