ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন নৌসেনা প্রধানের। ৬ টি পরমাণু চালিত সাবমেরিন চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। মূলত দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে শক্তি বৃদ্ধির জন্যই সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে এই চিঠি পৌঁছেছে কেন্দ্র সরকারের কাছে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন দেশ সামরিক শক্তিতে নিজেদেরকে উন্নত করে চলেছে। এমনকি বিশ্বের প্রথম সারির সমস্ত নৌবাহিনী সমৃদ্ধ এবং সামরিক শক্তিতে উন্নত দেশগুলির প্রতিবছরের আর্থিক বাজেটে সামরিক বাহিনীর জন্য একটি উন্নতমানের বাজেট নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যা থেকে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র প্রদান করা হয়ে থাকে।

এবার একইভাবে ভারতের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্বের বাকি দেশ গুলিকে টক্কর দিতেই ছটি পরমাণু চালিত সাবমেরিন বানাতে চেয়ে মোদীকে আবেদন জানাল নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং । মূলত ভারতীয় নৌ-বাহিনী বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম নৌবাহিনী। এই সময়ে বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গুলি যখন নিজেদেরকে সামরিক শক্তিতে উন্নত করছে তখন তাদের সামনাসামনি টক্কর দিতে ,পাশাপাশি ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের নৌশক্তি বৃদ্ধির জন্য, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নৌবাহিনী তরফ থেকে।
গত ৪ মার্চ গুজরাতের কেভাড়িযায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই বিষয়টি সম্পর্কে কথাবার্তা হয়। তবে পরবর্তীতে দেশ করোনার কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ায়, সমুদ্রসেতু২ বন্ধনের সাহায্যে পশ্চিমী দেশগুলির থেকে ভারতের অক্সিজেন বিপর্যয় মেটাতে অক্সিজেনের আমদানি করা হয়। ‘সমূদ্রসেতু ২’ নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্তার সাথে বৈঠকে বসেন মোদী।সেদিন বৈঠকেও এই একই বিষয় নিয়ে পুনরায় কথা বলা হয়েছিল, কারণ বর্তমানে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করতে , সেনাবাহিনীর ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত জাহাজগুলি বর্তমানে অক্সিজেন সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।নৌবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে এবার ওই এলাকাগুলিতে পারমানবিক ক্ষমতা যুক্ত সাবমেরিনের প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী। নিজেদের দেশকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচাতে এবং বহিঃশত্রুদের সরাসরি আক্রমণের মাধ্যমে পিছু হটতে বাধ্য করার জন্যই সাবমেরিনের প্রয়োজন অনুভব করছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম নৌ বাহিনী।