দেশ জুড়ে করোণার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে এখনো মাসখানেকও হয়নি। এরই মধ্যে প্রায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিলও। প্রথমে আট
-নয়টি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত কয়েকসপ্তায় সংক্রামন ছড়িয়েছে আরো কয়েকটি রাজ্যে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও লাগামছাড়া ভাব গোটা দেশে। রাজনৈতিক সভা,মিছিল, ধর্মীয় সমাবেশ সবই চলছে বহাল তবিয়তে। মাস্ক পরাতেও কেয়ারলেস দেশবাসী।
এ যাবৎ ভারতে আক্রান্তদের শরীরে মূলত তিনটি বিদেশি প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ব্রিটেন স্টেনের। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল প্রজাতি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বলছে যে এই নতুন ডাবল মিউটেন্ট বিশাল পরিমাণে বেড়ে চলেছে। যার ফলে সারা দেশে সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে।
বছর ঘোরার পাশাপাশি রূপের সঙ্গে উপসর্গও বদলেছে করোণা । কী এই নতুন উপসর্গগুলি। জেনে নিন।
গলা ব্যথা: করোণার একটি নতুন উপসর্গ হল গলা ব্যথা। শুধু ব্যথাই না, গলা ফোলা, চুলকানির মতন সমস্যাও দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ৫২% কোভিড রোগীদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এই উপসর্গ। কেউ কেউ খাবার বা পানীয় গিলতে অসুবিধা বোধ করছেন, অল্প জ্বালাও করছে গলায়। কারো আবার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে গলার স্বরও।
ক্লান্তি: কোভিড আক্রান্ত অনেকেই বলছেন, রোজ কাজের শেষে, সন্ধ্যার দিকে ক্লান্তি বোধ হয়। বেশির ভাগই মনে করেন কাজের চাপে এমনটা হচ্ছে। কিন্তু তা-ও আসলে কোভিডের উপসর্গ।
পেশীতে ব্যথা: পেশীতে ব্যথা হচ্ছে। দিন কয়েক তেমন চলার পরে তা হয়তো একটু বাড়ল। ব্যস, ওইটুকুই। প্রথম দিকে তাঁদের কারোর মনেই হচ্ছিল না করোনা পরীক্ষার করার কথা।পরে দেখা গেল পেশীর ব্যথার কারণ করোণা সংক্রমণই।
বমি বমি ভাব: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সবাই জানে, করোনা ভাইরাস শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে। কিন্তু বমি বমি ভাবও হতে পারে করোনার লক্ষণ। সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। তাই সামান্য গ্যাসের সমস্যা ভেবে রোগকে অবহেলা করবেন না।
চোখ লাল হওয়া: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোখ লাল হওয়াকে কনজাংটিভাইটিস হিসেবেই ভাবেন মানুষ। কিন্তু চোখ লাল হলে অবহেলা করবেন না। এটি করোণার উপসর্গ হতেই পারে।