ভারতের করোনা যুদ্ধে এবার এগিয়ে এলেন, ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রের চিকিৎসক এবং দেড় হাজার বৈদ্য। ইতিমধ্যেই কিছুদিন আগে কোভিডের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে ,‘বিজ্ঞান ভারতী’ ও ‘নস্য’-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের তরফ থেকে। তবে এই প্রথম নয় করোনা মহামারীর প্রাক্কালে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিলেন ভারতের আয়ুষ মন্ত্রকের বেশ কয়েকটি সংস্থা। এই সংস্থাগুলি তরফ থেকে জানানো হয়েছে গুড়ুচি, অশ্বগন্ধা, আয়ুশ ৬৪-র মতো একাধিক ওষুধে করোনা মোকাবেলায় কাজে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই ভারতে প্রায় তিরিশ লক্ষ মানুষের মধ্যে আয়ুশ ৬৪ ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় লেগে পরেছেন আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের চিকিৎসকরা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/WhatsApp-Image-2021-05-26-at-16.48.17-1024x569.jpeg)
হেল্প লাইন তৈরির ক্ষেত্রেও যোগদান করেছিলেন ১৫৫০ জন ডাক্তার। জানা যাচ্ছে গত ২২ সে মে থেকেই পুরোদমে চালু করা হয় এই হেল্পলাইন। ওদিকে এই হেলপ্লাইনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন, দেশের আয়ুশ-সচিব বৈদ্য রাজেশ কোটেচা। এই দিন তিনি বলেন, “কোভিড আক্রান্ত খুব কম রোগীর ক্রিটিক্যাল কেয়ার লাগছে। রোগীদের ৯০ শতাংশই মৃদু্ ও মধ্যম উপসর্গযুক্ত কিংবা উপসর্গহীন, যাঁদের একাংশ আয়ুর্বেদ মতে চিকিৎসা করাতেই পারেন। সেক্ষেত্রে এই হেল্পলাইন রোগীর কাছে পৌঁছনোর সেতু হয়ে উঠবে।” শুধু তাই নয় পাশাপাশি এই সমস্ত বৈধ এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আইন মোতাবেক কোভিড চিকিৎসার অধিকার আপনাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগী বেশি কাহিল হলে নৈতিক দায়বদ্ধতা মেনে রোগীকে ‘ইন্ডিগ্রেটিভ মেডিসিন’ অর্থাৎ মিলিয়ে-মিশিয়ে পরিষেবা দিতে হবে।”