ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া জীবন-যাপন করছেন দেশবাসী। মুখে নেই মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তার ফলেই এই বিপুল মাত্রায় সংক্রমণ হয়ে চলেছে। প্রতিটি হাসপাতালের পরিস্থিতি একই ,নেই বেড, পাওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন। এমনই এক আপৎকালীন অবস্থা ছিল গতকাল রাত্রে। অক্সিজেনের এই অপ্রতুলতায় যখন সবাই কেন্দ্রকে দুষছে ,ঠিক তখনই সঠিক সময়ে তরল অক্সিজেনের ট্যাংকার পৌঁছে দিয়ে সংকটজনক প্রায় ৫০০ করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচাল দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এটি একটি মিরাক্কেল ছাড়া আর কিছুই নয়।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-21-at-10.28.43-1.jpeg)
দেশের সর্বোচ্চ সংক্রমিত রাজ্যগুলির তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি হাসপাতালেই অক্সিজেনের ঘাটতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে । এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি দিল্লির জিটিবি হাসপাতাল ,গতকাল রাত্রি অব্দি সেখানে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। তবে রাত্রি ১১ টায় তা চরম সীমায় পৌঁছালে ,আপৎকালীন পরিস্থিতিতে রাত্রি ১:৩০ নাগাদ একটি অক্সিজেন সরবরাহ করে প্রায় ৫০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রাণ বাঁচায় সরকার।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-21-at-10.28.43.jpeg)
রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণ বেড়ে চলেছে বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮,৩৯৯ জন। রাজধানীতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৮৫,৫০০। সঙ্গে পাল্ল দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪-ঘণ্টায় ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ০৪১ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশে। করোনা প্রথম ওয়েভের সময় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর দেশে দৈনিক সংক্রমণ শিখরে পৌঁছেছিল। সেই সংখ্য়া ছিল ৯৮ হাজার ৭৯৫। অর্থাৎ, এদিনের সংখ্যা সেদিনের প্রায় তিনগুণ। প্রতিদিনের বুলেটিনের মাধ্যমে মানুষকে সাবধান করার প্রচেষ্টায় তৎপর কেন্দ্র।