কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবিতে নবান্ন অভিযান। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ দ্রুত রূপায়ণের দাবি। দাবিতে পথে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহা সংঘের সদস্যরা। কলেজস্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু হয়। উদ্দেশ্য ছিল নবান্ন কিন্তু পথে আটকে দেয় পুলিশ। কলেজ স্ট্রিটের কাছাকাছি রাস্তাতেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অশান্তি এড়াতে মোড়ে মোড়ে মোতায়েন ছিল পুলিশ। মঙ্গলবার তীব্র দাবদাহকে উপেক্ষা করেই মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলের কোন অনুমতি না থাকার কারণ দেখিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিনের মিছিল থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/03/Employees-during-a-protest-in-Kolkata-on-Monday.-Partha-Paul-1024x569.jpg)
পাশাপাশি এদিন প্রশিক্ষিত কম্পিউটার শিক্ষকরাও বিক্ষোভ দেখান কালীঘাটে। ন্যাশনাল স্কিল ইন্ডিয়ার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কালীঘাট অভিযান। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে অবস্থান বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। বেতন না পাওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পাঁচ বছর ধরে বেতন না পাওয়ার অভিযোগে রাস্তায় নামেন তাঁরা। কালীঘাটে ঢোকার আগেই কালীঘাট পুলিশের বাধার মুখে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ৫০০-রও বেশি স্কুলে মূলত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতেন তাঁরা। তবে এনাদের অভিযোগ, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। বকেয়া বেতনের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভে নামেন।
বিক্ষোভকারী বলেন, “পাঁচটা বছর ধরে আমরা বিনা বেতনে কম্পিউটার শেখাচ্ছি। আমাদের ফাইলে সরকারি মেমো নম্বর পড়ে গিয়েছে। তারপরও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তিনি অমানবিক আচরণ করেছেন আমাদের সঙ্গে।” এ দিন, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষ আসেন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। তাঁদের দাবি একটাই- গত পাঁচ বছর ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীরাও আজ বিকাশ ভবন অভিযান করেন। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় আন্দোলনকারীদের।