জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটতে না কাটতেই ফের ধাক্কা তৃণমূলের। রাজ্য সভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এর ফলে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জন৷ মেয়াদ শেষ হতে এখনও তিন বছর সাত মাস বাকি ছিল তাঁর। তার ঢের আগেই পদত্যাগ করলেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনকড়। যদিও ফালেইরোর ছেড়ে যাওয়াই আসনে পছন্দের প্রার্থী দিতে পারবে তৃণমূল।
তৃণমূলের একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দলের অনুশাসন মানেননি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফালেইরোর কাছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে গিয়েছে বার্তা। নিজে থেকে নয়, তৃণমূলের নির্দেশ মতোই লুইজিনহোই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। গোয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ বাধে তাঁর। গোয়ায় ভরাডুবির পিছনে লুইজিনহোর ভূমিকা নিয়ে কানাঘুষো চলছিল দলের অন্দরে।
২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তার দু’মাসের মধ্যে তাঁদের রাজ্যসভায় পাঠায় জোড়াফুল শিবির।দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে লুইজিনহোকে সাংসদ করে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। লুইজিনহোর ছেড়ে দেওয়া আসনে শীঘ্রই প্রার্থী ঘোষণা করবে তৃণমূল।সংসদের উচ্চকক্ষে তিন বছর কাটাতে পারবেন তিনি, লুইজিনহোর মেয়াদ বাকি ছিল যতদিন। ফালেইরোর জায়গায় কাকে আনা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নির্দিষ্ট দিন ক্ষণ জানতে পারলেই জোড়াফুলের তরফে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।