
অসহায় মানুষের আওয়াজ জনগনের কাছে, প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা । মানুষের সামনে তুলে ধরা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা । এটাই তো সাংবাদিকদের কাজ । কিন্তু প্রশাসনই যখন শত্রু ? এহেন অবস্থায় এক মুহূর্তের জন্যেও ভেঙ্গে না পড়ে সত্যের জন্য লড়াই চালিয়ে গেলেন তিনি । তিনি প্রতিমা মিশ্র। না কোন সেলিব্রেটি নন তিনি। তবে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনার পর মুম্বইয়ের সাংবাদিক প্রতিমা যে সেলিব্রেটি তা বলাই বাহুল্য। হাথরসের খবর কভার করতে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের সঙ্গে রীতিমত বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই চিত্রসাংবাদিককে নিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। অনেকটা সময় ধরে রীতিমত বাকযুদ্ধ করতে দেখা যায় জেলাশাসক থেকে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে। ঘিরে রাখা পুলিশ কর্মীদের এড়িয়ে চিত্রসাংবাদিককে নিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন প্রতিমা। নির্যাতিতার পরিবারের আওয়াজ তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি । গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ যে করা যায় না তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন প্রথমসারির টিভি চ্যানেলের এই সঞ্চালিকা তথা সাংবাদিক প্রতিমা মিশ্র । তাঁর এই কর্মকান্ডে রীতিমত ঝড় উঠেছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনের বিরুদ্ধে । শুধু মাত্র উত্তরপ্রদেশ নয় ভারতের নানা জায়গায় নিজের সাংবাদিকতার মাধ্যমে সাহসিকতার পরিওয় দিয়েছেন প্রতিমা ।
দিল্লির মহারাজা আগ্রাসেন কলেজ থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে স্নাতক হন প্রতিমা। 2009 সালে একটি ন্যাশনাল নিউজ চ্যানেলে দুমাসের ইন্টার্নশিপ দিয়েই কর্মজগতে পা দেন তিনি। পরে 2009 সালে প্রথমসারির নিউজ চ্যানেলে সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন প্রতিমা। 2017 সালে কাজের জন্য সিনিয়র করেসপন্ড হিসেবে রামনাথ গোয়েঙ্কা অ্যাওয়ার্ড পান এই সাংবাদিক। তবে হাথরস কাণ্ডে নিজের পাশাপাশি যেভাবে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের মাথা উঁচু করে দিয়েছেন প্রতিমা, তাতে সংবাদমাধ্যমের কর্মী হিসেবে বেশ গর্ব অনুভব করছি আমরা। দর্শকদের কথায় সাংবাদিক হো তো অ্যায়সা।