অবশেষে কমতে চলেছে করোনা এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম। শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যদিও করোনা টিকার দাম নিয়ে কোনরকম সিদ্ধান্তই নেননি তিনি।
করোনা পরিস্থিতিতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত অত্যাবশকীয় ওষুধ এবং পণ্যের উপর মাত্রাতিরিক্ত জিএসটি নিয়ে বহুদিন ধরেই সোচ্চার হয়েছিল বিরোধীরা। এবার বেশ কিছু অত্যাবশকীয় চিকিৎসা পণ্যের উপর জিএসটি কমাল কেন্দ্র। জিএসটি কমছে করোনায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভিরের উপর থেকেও। এর উপর থেকে জিএসটি ১২% থেকে কমে হল ৫%। এছাড়াও জিএসটি কমান হয়েছে হেপারিনের উপর থেকেও। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসায় ব্যবহৃত টসিলিজুম্যাব ইঞ্জেকশন এবং অ্যাম্ফোটেরিসিন বি এর উপর কোনো ট্যাক্স নেবেনা কেন্দ্র।
এছাড়াও তাপমাত্রা মাপার সমস্ত যন্ত্রের উপর থেকে কমান হল জিএসটি। আগে এই সামগ্রিগুলি কিনতে ১৮% জিএসটি দিতে হত, এখন দিতে হবে ৫%। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ের উপর কর, বৈদ্যুতিক চুল্লিতে কর, পালস অক্সিমিটার ইত্যাদির উপরেও কমান হয়েছে কর। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সমস্ত জিনিস গুলোর এই পরিবর্তিত দাম লাগু হবে, আবার তারপর থেকে গুনতে হবে আগের দামই। এই মুহুর্তে করোনা যুদ্ধে জেতার একমাত্র অস্ত্র করোনক টিকা এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু টিকার উপর কর কমান নিয়ে কোনোরকম সিদ্ধান্ত নেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর আজকের ঘোষণায় সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও টিকার অত্যাধিক মূল্যের কারণে চাপা অসন্তোষ থেকেই যাচ্ছে।