রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সমস্যা চলছিল, তার অস্থায়ী সমাধান সূত্র বের করল রাজভবন। ছ’টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মঙ্গলবার ইস্তফা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে। একই সঙ্গে ওই পদে তাঁদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তখনই জানান, বাকিরাও এ ভাবে ইস্তফা দেবেন। তা অনুযায়ী রাজ্যের ৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছ’জন উপাচার্য রাজভবনে গিয়ে বোসের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না করা হয়, ততক্ষণ তাঁদের উপাচার্য পদে ৩ মাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যের ১০টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এমনিতেই উপাচার্যহীন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী ইমেইল করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর উপাচার্য পদে থাকতেই চাইছেন না। এরপরই বুধবার ফের রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পর কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়,গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাবাসাহেব আম্বেদকার এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয় এই ছয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন।
ডায়মন্ড হারবার, মুর্শিদাবাদ এবং রবীন্দ্রভারতী উপাচার্যহীন হয়ে পড়ায় সেই সংখ্যা বেড়ে হলো ১৩। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের জেরে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। তাঁর ইস্তফাপত্র অবশ্য রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছে।