অ্যাডিনো আতঙ্কে ভীতি ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। আজ সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত চার শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকাল তিন শিশুর মারা যাওয়ার খবর সামনে আসে। আর আজ ফের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চার খুদের মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে, চার জনের মধ্যেই একই উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। চার শিশুই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি জ্বরে ভুগছিল।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/03/IMG-20230301-WA0005.jpg)
দুটি শিশুর মৃত্যু হয় বি সি রায় হাসপাতালে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৩ বছর ৭ মাস। হাবড়ার হাসপাতাল থেকে কলকাতায় পাঠানো হয় তাকে। এরপরই বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। আরেকজনের বয়স ছিল মাত্র চারদিন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় জন্মের পর থেকেই ভুগছিল সে। বারাসাতের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই শিশুটিকে কলকাতার বি সি রায়-তে রেফার করা হলে আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়। দুই শিশুর ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিউমোনিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাত্র ২২ দিন বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে। শিশুটিকে উলুবেড়িয়া থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। এই শিশুর অ্যাডিনো পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর আজ বুধবার শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ৭ মাস বয়সী হুগলির এক শিশুর মৃত্যু হয় মেডিকেল কলেজে। জানা গিয়েছে জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল তার। জ্বরও ছিল। পাশাপাশি ছিল হার্টের সমস্যাও। আজ সকালেই তার মৃত্যু হয়।
অ্যাডিনো পরিস্থিতি সামাল দিলে তৎপর রাজ্য। নবান্নে এই নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকেও বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যাতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানে বেড রাখা হয়। শিশুদের চিৎকার ক্ষেত্রে যাতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার দিকেই নজর রাখছে রাজ্য। তবে শুধুমাত্র কলকাতা নয়। পশ্চিমবঙ্গের নানান জেলাতেও ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে। যার জেরে এখনই অ্যাডিনো আতঙ্ক কাটছে না রাজ্যে তা স্পষ্ট।