![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-06-at-18.23.33-1024x661.jpeg)
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে দু দশকের বামফ্রন্টের নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা ভেঙে গিয়েছিল ত্রিপুরার উপজাতি এলাকায়|বাম পতনের ফলে রক্তাত্ব হয়েছে ত্রিপুরার মাটি| পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী দল সিপিআইএম বিজেপির দিকে ভোট রিগিং এর অভিযোগ তোলে, যা সারা দেশ জুড়ে নিন্দিত হয়েছিল|রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই মঙ্গলবার ত্রিপুরার ট্রাইবাল অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল অর্থাৎ উপজাতি স্বশাসিত এলাকার ২৮ টি আসনে ভোট|আগরতলায় সকাল থেকেই হিংসার বাতাবরণ চরমে| বুথ দখল, রিগিং,গুলি চালানো এসব লেগেই রয়েছে| ত্রিপুরার ঘটনাকে ঘিরে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস দুজনেই সরব হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে|বোধজংনগরে গুলিও চলেছে এবং জখম হয়েছেন একজন| ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা, অভিযোগ উঠলো বিজেপি ও আইপিএফটির দিকে|সংঘর্ষের আঁচ ত্রিপুরার পার্বত্য এসিডি এলাকাতেও| বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তারপরই বেকারত্বের সূচকে দ্বিতীয় স্থানে ত্রিপুরা|যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন – ডবল ইঞ্জিন সরকার আসার পর অনেক উন্নতি হয়েছে|বিধানসভা নির্বাচনের পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের একাধিক হাস্যকর মন্তব্যে দেশ জুড়ে শোরগোল ফেলেছিল|এদিকে কেন্দ্র সরকারের স্লোগান-বিপ্লব হটাও ত্রিপুরা বাঁচাও| কেন্দ্র সরকার নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেন – ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হবে|কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি| এমনকি চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে|