শেষপর্যন্ত কাটল আইনি জট। বৃহস্পতিবার নিষ্পত্তি হল কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়ে জনস্বার্থ মামলার। রাজ্য সরকারের স্কুল খোলার সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তার ফলে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে ফের খুলতে চলেছে প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ পড়ে থাকা ক্লাসরুমের দরজা। উত্তরবঙ্গ সফর চলাকালীনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলতে চলেছে সমস্ত স্কুল। নভেম্বরের মধ্যভাগ থেকেই অনলাইনের পরিবর্তে অফলাইনে ক্লাস হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। তবে পড়ুয়ারা স্কুলে গেলে বাড়তে পারে করোনার আশঙ্কা তাই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার আগাম কোনও নির্দেশ ছাড়াই এই জনস্বার্থ মামলার নিষ্পত্তি করে দেয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ১৬ নভেম্বর থেকেই এ রাজ্যে খুলবে স্কুল। তবে স্কুল খোলার ফলে পড়ুয়া, অভিভাবক, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীরা যদি কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হন তবে তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
আদালতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, “আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় পঠনপাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের এখানে উৎসবের মরশুম ছিল। তাই সেই সময় পার করেই স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। স্কুলের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৫ ঘণ্টা ৫০ মিনিট স্কুল চলবে। কোভিডবিধি মানার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রার্থনা ঘরেই হবে। কোভিড সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরির জন্য স্কুলে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই সময় পড়ুয়াদের কোভিড সংক্রান্ত পাঠ দেওয়া হবে।” এদিন আপাতত রাজ্য সরকারের জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত।