অরাজনৈতিক ব্যানারে খেজুরি দিবস পালন করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ২০১০ সালে এলাকা দখলকে ঘিরে সিপিএম এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি। প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। ওই বছরের ২৪ নভেম্বর খেজুরিতে শান্তি ফিরেছিল। সেই স্মৃতিতে প্রতিবছর খেজুরি দিবস পালন করে তৃণমূল। তবে এই প্রথম একেবারে অরাজনৈতিক ব্যানারে এই দিনটি পালন করলেন শুভেন্দু। এদিন বাঁশগোড়া থেকে কামারদা বাজার পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রায় সামিল হন শুভেন্দু অধিকারী। বিপুল সংখ্যক অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে একেবারে পুরনো ছন্দে ধরা দেন শুভেন্দু। এদিন রাজনৈতিক বিতর্কিত কোনও কথা না বললেও পদযাত্রা শেষে কামারদা বাজার এলাকায় পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১০–এর আগে খেজুরিতে গণতন্ত্র ছিল না। কৃষক নিজের ধান নিজে তুলতে পারত না। পুকুরে বিষ দেওয়া হত। ঘরছাড়া হতে হয়েছে অনেককে।”

পাশাপাশি বাম আমলে ঘটে যাওয়া সেই সংঘর্ষে কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “সেদিন ভোররাতে ৩০০ বন্দুকবাজ খেজুরি দখল করেছিল। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে পৌঁছে এলাকা হার্মাদ–মুক্ত করেছিলাম। তৎকালীন পুলিশ হার্মাদদের সাহায্য করেছে। খেজুরিতে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি বজায় থাকুক এই প্রার্থনা করি।”অন্যদিকে, প্রতিবছর তৃণমূল খেজুরি দিবস পালন করে। এদিন বিকেলেও খেজুরিতে এক কর্মসূচি করার কথা ছিল তৃণমূলের। তবে শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।