সমবায় সপ্তাহ পালনে বেশ খোশ মেজাজে ধরা দিলেন বর্তমানে চর্চিত নেতা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে সমবায় সপ্তাহ পালনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত হন দাপুটে এই নেতা। এদিন তিনি বলেন, “সমবায়ের মাধ্যমে চাষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া হয়। গোটা রাজ্যে সমবায় আন্দোলনে পথে দেখিয়েছি আমরা।” শুভেন্দুবাবুর কথায়, ১৯৭৩ সালে রাজ্যে সমবায় আইন তৈরির সময় তার খসড়া লিখে ছিলেন কাঁথি কলেজের প্রয়াত গণিতের অধ্যাপক সুধাংশুশেখর পাণ্ডা। সুতরাং গোটা রাজ্যে সমবায় আন্দোলনকে পথে দেখিয়েছে মেদিনীপুর।

এদিন, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এই সভায় যোগদান করেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। দাদা
-র পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেও দেখা যায় অনেক ভাই
-দের। তবে এদিনের সভা থেকেও একবারও রাজনৈতিক বক্তব্য শোনা যায়নি শুভেন্দুর কথায়। এদিন মূলত সমবায় সমিতি কিভাবে আগামী দিনে বৃহত্তর করা যায় সেই বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
প্রসঙ্গত বেশকয়েকদিন ধরে শুভেন্দুর দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে। মঙ্গলবারও দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সূত্রে খবর, যেহেতু এখনও তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু, পাশাপাশি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথাও বলেননি সেক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমেও বরফ গলতে পারে বলে আশা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে আগামী 19 নভেম্বর নিজের মতামত স্পষ্ট করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। এখন কী বলেন শুভেন্দু সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।