একের পর এক লাগামহীন তোপ দাগছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার নিশানায় বিধায়ক অখিল গিরি। এদিন রামনগরের একটি জনসভায় নাম না করে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমি বিজেপিতে যাওয়ার আগেও গালাগালি করতেন। আর যাওয়ার পরে একেবারে লাইসেন্স নিয়ে যত কুকথা রয়েছে তিনি আমার, আমার পরিবার ও পিতৃদেব সম্পর্কে সবই বলছেন।’ সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও এক হাত নিলেন তিনি। ‘যেমন ঝাড় তেমন বাঁশ হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাড়ে ওই বাঁশই হয়’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভন্দুর।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে অখিল গিরির ‘কুমন্তব্যের’ প্রতিবাদেই এদিনের সভা করেন বিরোধী দলনেতা। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কটূক্তিকে দায়ী করে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কিম্ভূতকিমাকার, কোমরে দড়ি পরাব বলেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হোঁদল কুঁতকুঁত বলে ব্যাঙ্গ করেছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উদ্দেশ্যে তিনি ‘চাড্ডা, নাড্ডা, হাড্ডা, গাড্ডা’ মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর শিক্ষাদীক্ষা ও সংস্কৃতিই ঠিক করে দেয় কতটা পরিশীলিত ভাষা উচ্চারিত হবে আর হবে না’। অখিল গিরি আজ গোটা দেশের কাছে বাংলার মাথা নিচু করে দিয়েছেন বলে শুভেন্দুর মন্তব্য।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু পিসি-ভাইপো মুক্ত বাংলা গড়ার দাবী জানিয়েছেন জনসমক্ষে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডল, কাউকেই ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। পাশাপাশি শিলিগুড়ির সভা থেকেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে অভিযোগ আনেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অনেক দুঃখ ছিল সেখানে পাহাড় নেই বলে। এখন তৃণমূল নেতার বাড়ি ঢুকলেই টাকার পাহাড় দেখা যাবে বলে স্লোগান তোলেন তিনি।