বিনা নোটিশে আচমকাই কোলকাতা পুলিশের হানা আরামবাগ টিভি সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলামের বাড়িতে। নোটিশ না পাঠিয়ে সরাসরি বাড়িতে চলে আসায় বেজায় ক্ষুব্ধ প্রতিবাদী সম্পাদক। সে সময় বাড়িতে না থাকায় তাঁর স্ত্রীয়ের মুখোমুখি হয় পুলিশ। পুনরায় কেস তৈরি তাঁর বিরুদ্ধে। ফের গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিস্ফোরক ভিডিওতে সফিকুল বাবুকে বলতে শোনা গেল, ‘আমার নামে কী কেস হল যে পুলিশ বিনা নোটিশে বাড়িতে চলে এল। আমি কোনো অন্যায় করিনি। এতে একটুও ভয় পাচ্ছিনা। আমি আমার কাজ করেছি মাত্র আর কাজ করে যাব।
শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য এবং চার্জশিট সংক্রান্ত একটি বিস্ফোরক খবর তিনি গতকাল প্রকাশ করেছিলেন নিজের সংবাদ মাধ্যমে। সরকার বিরোধী এই খবরের জেরেই পুলিশি হানা বলে মনে করছেন তিনি। সঠিক তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আরও সব বিস্ফোরক বিষয় জনসমক্ষে তুলে ধরবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তাই এইসব প্রমান, সম্পাদকের যন্ত্রপাতি, সমস্ত নথি লোপাট করে তাকে দমিয়ে রাখার জন্যই সরকার থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে দাবী সফিকুলের। এর আগেও পোস্তা থানায় সফিকুলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কেস হয়েছিল। এবার হয়ত তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
হাইকোর্টে মামলা দায়ের হতে পারে। তবে তিনি সমস্ত রকম আইনি ব্যবস্থা নিয়ে লড়তে প্রস্তুত। এ দিনের ভিডিওটিতে সফিকুল আরও বলেন যে, ‘যারা চুরি করছে, লুটপাট করছে, বিদেশের বাজারে দেশের জিনিস বেআইনিভাবে বিক্রি করে টাকা কামাচ্ছে পুলিশ তাদের ধরতে পারে না। যারা এইসব নিয়ে খবর করছে তাদের ধরতে সকাল সকাল বাড়ি চলে আসছে।‘ ইতিমধেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভিডিও কলে সফিকুলের স্ত্রীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই আপনার ও সফিকুল ভাইয়ের পাশে আছি। সব রকম আইনি লড়াই আমরা লড়ব। এর আগেও সফিকুল ভাইকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছিল। মাতঙ্গীনি হাজরার মতো শক্ত হয়ে লড়াই করুন। ভয় পাবেন না।‘ পরিস্থিতি এখন যথেষ্টই উত্তপ্ত। বিরোধী দল একজোট হয়ে সফিকুলের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে এই ঘটনায় সফিকুলের পাশাপশি ক্ষুব্ধ গোটা সংবাদমাধ্যম। আজ একজন সাংবাদিকের সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ করলে সেটা সকল সাংবাদিকেরই অপমান। তবে কুর্নিশ সফিকুল ভাইকে যিনি নির্ভয়ে এখনও বলছেন, ‘আমি ভয় পাই না, পাব না, আমার কাছে প্রমাণ আছে, আমি অন্যায় করিনি, আমি লড়বইব।
সাংবাদিকতাকে ঘিরে ফের রাজনীতির খেলা চলছে রাজ্যে। একদিকে যেমন সাংবাদিকের স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপ অন্যদিকে পুলিশি নজরদারি। সত্যিই তুলে ধরা কি শক্ত?
আরও পড়ুন