ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে ফের শিরোনামে নিমতিতা। সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বেই উদ্ধার হল বেশ অনেকগুলি তাজা বোমা। কে বা কারা এই বোমা রাখল, তা স্পষ্ট নয় এখনো। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত ডিহিগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের ভিতর থেকে সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় জার ভরতি তাজা বোমা। হাতেগোনা সাত দিন পরেই ভোট সুতিতে। তার আগেই নিমতিতা স্টেশন থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরত্বে জার ভরতি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,”জনবহুল এলাকায় রয়েছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিদিন শতাধিক মানুষকে আসা-যাওয়া করে এই এলাকায়। এই এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার হওয়ায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।”
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল এই নিমতিতা স্টেশন। গুরুতর জখম হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এহেন ঘটনা। কে বা কারা ঘটিয়েছিল ওই ঘটনা তা নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব অব্যাহত। এসবের মাঝেই সেই নিমতিতা স্টেশন সংলগ্ন থেকে উদ্ধার হলো বহুসংখ্যক বোমা। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে ওই বোমা ভরতি জারটি দেখে। তারপর তারাই খবর পাঠায় থানায়, পরে পুলিশ এসে ওই জারটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ভোটের সময় অশান্তি সৃষ্টি করতেই বোমা-গুলি মজুত করা হয়েছিল।
পুলিশ ইতিমধ্যে হাসপাতালের ওই পরিত্যক্ত ঘরটিকে আটকে দিয়েছে। ঘরটিতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কোথা থেকে এলো এতো বোমা, তাহলে কি এখানেই বোমা তৈরি হচ্ছিল? বারবার ঘুরে ফিরে আসছে এমনই সব প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ঘটনার জোরকদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা।