বঙ্গ ভোটের আগে বঙ্গে বিজেপি শীর্ষনেতাদের আগমন এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তবে রাজ্যের শাসক দলও রাজি নয় এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে। সেক্ষেত্রে দুই দলের কর্মসূচি কোথাও কোথাও একে অপরকে টক্কর দিচ্ছে। আজ একই সঙ্গে দুই দলের তরফ থেকে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
দুই দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনায় সময় কাটছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাসির। ওদিকে চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়েছে প্রশাসনিক মহলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। একই দিনে একই জেলার দুটি ভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করতে চলেছেন দুই দলের শীর্ষ নেতা এবং শীর্ষ নেত্রী। ফলে এই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার প্রবণতা চরম । সাধারণ মানুষ তাকিয়ে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তাদের দিকে।
ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার পথে অমিত শাহ এবং বিজেপি সরকার বিরোধী পোস্টারের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। তবে রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় অবশ্য অন্য, সমালোচিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , বলা হয়েছে অমিত শাহের সভায় জনসংখ্যা কমাতেই একই দিনে একই জেলায় জনসভা করছেন তিনি। যদিও এই বক্তব্যকে খারিজ করে তিনি বলেছেন তাঁর এই কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত। পাশাপাশি এও বলেছেন বিজেপির সভায় কোনরকম ব্যাঘাত ঘটাতে চায়না তৃণমূল।
ইতিমধ্যে প্রশাসনিক মহলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক তরফে। সম্পূর্ণ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে।
যদিও এখনই একেবারে চিন্তা মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না কারণ কিছুদিন আগেই বিজেপির শীর্ষনেতা জে পি নাড্ডা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় সভা করতে এসেছিলেন । সেখানে তাঁর কনভয়ের ওপর হামলা করেন তৃণমূলের সমর্থকরা। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ওই একই দিনে কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের নিজের। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক মহলের দিকে। কিভাবে একই দিনে একই রাস্তায় দুটি ভিন্ন দলের কর্মসূচিকে অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন ? তার উপরে আজকের উভয় কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত পথ একটিই। সেটি হল ডায়মন্ড হারবার রোড। তাই আজ সম্পূর্ণ কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চাপের মুখে থাকছে প্রশাসনিক মহল।