নদীর চড়ে উদ্ধার হল নিখোঁজ স্কুলছাত্রের গলাকাটা দেহ। মৃত স্কুলপড়ুয়ার নাম মনোজ বর্মন। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই নৃশংস খুনের পিছনে তন্ত্রসাধনার যোগ থাকতে পারে। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার-১ নম্বর ব্লকে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসেরই ২৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার-১ নম্বর ব্লকের মেঝবিলে রাসমেলা দেখতে যায় স্কুলপড়ুয়া মনোজ। তারপর সেদিন রাতভোর আর কোনো খোঁজ মেলেনি তার। এরপর পরেরদিন অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর বুড়িতোর্ষার চড়ে উদ্ধার হয় স্কুলছাত্র মনোজের গলাকাটা দেহ।
এরপরেই কে বা কারা কেন খুন করল মনোজকে? এই প্রশ্নে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। খুনের ঘটনার তদন্তে নামে পুলিস। আলিপুরদুয়ার মহকুমা পুলিস আধিকারিক দেবাশিষ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য তৈরি হয় বিশেষ টিম ৷ এরপরই এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবলু বাগচীকে গ্রেফতার করে আলিপুরদুয়ার পুলিশ ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পাওয়া যায় মনোজকে খুনের পিছনে তন্ত্রসাধনার যোগসূত্র। ধৃত বাবলু বাগচীর দাবি, মনোজ বর্মন খুনে মূল অভিযুক্ত নিহত স্কুলপড়ুয়া মনোজ বর্মনেরই প্রতিবেশী সুনীল বর্মন৷ খুনের ঘটনায় তিনিও যুক্ত ছিলেন৷ তবে আপাতত সুনীল বর্মন পলাতক। সুনীল বর্মনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।