২০১৭ সালের বন্যা ত্রাণের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে এবার হাইকোর্টের ভৎসনা শিকার হতে হল রাজ্য সরকারকে। ৭ হাজার মানুষের জন্য নথিভূক্ত করা হয়েছে মাত্র একটি ফোন নাম্বার। চার বছর আগে মালদাতে বন্যার জন্য যে ত্রান দেওয়া হয়েছিল, সেই ব্যবস্থাতে ব্যাপক দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নেয় রাজ্য সরকারও। এইপ্রসঙ্গে হাইকোর্টের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয় রাজ্য সরকারকে। জানতে চাওয়া হয়, ” তাহলে এতদিন কি রাজ্য সরকার ঘুমিয়ে ছিল? ” এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি তড়িঘড়ি তলব করা হয়েছে, এই বিষয়ে প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট হলফনামা। জানা যাচ্ছে হাইকোর্টের তরফ থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই হলফনামা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । কারণ আগামী দিনে এই হলফনামার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে উচ্চ আদালতের তরফ থেকে।

২০১৭ সালে মালদায় অগুনতি মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে দেওয়া হয়েছিল এই ত্রাণ । সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল,যে সমস্ত মানুষের বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদেরকে বাড়ির মালিক প্রতি ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে। সেই অনুযায়ী, প্রায় ১৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরি হয় এবং তাতে সিলমোহর দেন খোদ বিডিও। আর এখানেই এই ১৪০০০ নামের তালিকা থেকে ব্যাপক গড়মিল খুঁজে পেয়েছে কলকাতা আদালত।