করণা পরিস্থিতিতে ফ্রন্টলাইনার হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন পুরো স্বাস্থ্যকর্মীরা। রাজ্যের মোট 118 টি পৌরসভা এবং সাতটি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের মোট 30 হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য কর্মীদের ভাতা বাড়ানো হচ্ছে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। করণা মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় রাজ্যেরও তাদের প্রতি এক দায়ভার থেকে যাচ্ছে বলে মনে করেন রাজ্য সরকার তাই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আজ এমনই খবর টুইট করে করে জানিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এতে অবশ্যই হাসি ফুটেছে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মুখে। পূর্বে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত থাকায় স্থায়ী কর্মী হবার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীদের ইউনিয়ন।
শুধু তাই নয় পাশাপাশি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো এবং করণা মোকাবেলায় নিরন্তর পরিশ্রম করে গেছেন এই সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা পাওয়ার দাবি করেন তারা। অস্থায়ী কর্মচারী হওয়ার সুবাদে কোনরকম আলাদা করে ছাড় পায়নি তারা খেটে গেছেন স্থায়ী কর্মচারীদের মতোই হাতে হাত মিলিয়ে ,করে গেছেন করোনার মোকাবেলা। আক্রান্তদের কোরেন্টাইন করা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা অব্দি নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন সকল স্বাস্থ্যকর্মীরাই। শুধু তাই নয় ডাক্তারদের সাথে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবেও কাজ করেছেন তারা । আইসোলেশন এ থাকা রোগীদের দেখভাল থেকে শুরু করে পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের লালা রস সংগ্রহ এবং সেই লালা রস কে পরীক্ষাগারে পাঠানো পর্যন্ত সমস্ত ভূমিকা পালন করেছেন একত্রিত ভাবে। দায়িত্বের দিক থেকে একাংশ পিছিয়ে না থাকলেও নিজেদের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধায় পিছিয়ে রইল সরকার বলেই মনে করছেন তারা। পাচ্ছেন না কোনো সুযোগ-সুবিধা এমন কি ঘটছে না আর্থিক অবস্থার উন্নতিও। সকলে মিলে বিক্ষোভের মাধ্যমে দাবি তুলেছিলেন করো না পরিস্থিতি মোকাবিলার সম্পন্ন না হওয়া অবদি 5000 টাকা করে মাসিক বেতন দেয়া হোক তাদের গতকাল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তার টুইটারে তাদের বেতনের তালিকা প্রকাশ করেছেন ।