মহাকাশ সকলের জন্য। কোনও সীমানা নেই, বাঁধনও নেই। তাই যে কেউ যেতে পারেন। সুস্থ-সবলদের জন্যই শুধু নয় শারীরিকভাবে অক্ষম যারা, তাঁদের জন্যও মহাকাশ অভিযানের দরজা খুলে দিচ্ছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। বিশ্বের প্রথম প্রতিবন্ধী নভশ্চরকে পাঠানো হচ্ছে মহাকাশ অভিযানে।ইএসএ প্রধান জোসেফ অ্যাসবাচার বলেছেন, শারীরিকভাবে দুর্বল বা প্রতিবন্ধীরাও মহাকাশ অভিযানে যেতে ইচ্ছুক। তাঁদের অনেকেরই সে দক্ষতা আছে। অন্তত ২২ হাজার আবেদনপত্র জমাও পড়েছিল একটি ক্যাম্পেনে। সেখান থেকে বাছাই করে নেওয়া হয়েছে কয়েকজনকে। প্রশিক্ষণের পরে একজনকে পাঠানো হবে মহাকাশে। সেটাই হবে প্রথম কোনও প্রতিবন্ধী নভশ্চরের মহাকাশ যাত্রা। ইতিহাস তৈরি করবে সেই অভিযান।

ইএসএ প্রধান বলছেন, মহাকাশে ‘ম্যানড মিশন’ বা মানুষ নিয়ে যাত্রা অনেকবারই হয়েছে। কিন্তু প্রতিবন্ধী নভশ্চরকে মহাকাশে পাঠানোর উদ্যোগ এই প্রথম। এই মিশন সফল হলে বিশ্বের কাছেও বার্তা যাবে। অনেকবেশি মানুষ মহাকাশ অভিযানে উৎসাহ পাবেন। গ্রহ-নক্ষত্রের রহস্য জানার সুযোগ পাবেন সাধারণেরাও।
আমাজন ও ব্লু অরিজিনের কর্তা আমেরিকান জেফ বেজোস তো ঘোষণাই করে দিয়েছেন আগামী ২০ জুলাই ‘নিউ শেপার্ড বুস্টার’-এর মাধ্যমে মহাকাশে পাড়ি দেবেন তিনি। প্রথম মার্কিন নভশ্চর অ্যালান শেপার্ডের নামে এই লঞ্চ ভেহিকলের নামকরণ করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ অভিযানকে জনপ্রিয় করতে কোটি কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করার পরিকল্পনাও আছে তাঁর। টিকিটের দাম পড়বে ভারতীয় টাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি। বেজোসের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা হয়েছে আমেরিকাতেই। নানা বিতর্ক-সমালোচনাও চলছে এই নিয়ে। তবে তার আগেই যদি ইএসএ তাদের প্রতিবন্ধী নভশ্চরকে মহাকাশে পাঠাতে পারে, তাহলে ব্লু অরিজিনকে ছাপিয়ে ফের একবার শিখরে পৌঁছে যাবে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।