কিছুদিন আগেই অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি “প্রতিচি” নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জমি বিভেদ নিয়ে বিতর্কে পড়তে হয়েছিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। তাই সেই বিবাদের নিষ্পত্তি করতে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করল বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমির মাপ ঝোপ করা হোক প্রতীচীর। তাহলেই এই বিবাদের পূর্ণ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে জানানো হয়েছে,নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’-র মধ্যে বিশ্বভারতীর নিজস্ব জমি ঢুকে গিয়েছে। রজতকান্ত রায় উপাচার্যের দায়িত্বভার সামলানোর সময় মৌখিকভাবে বিষয়টি অমর্ত্যবাবুকে একাধিকবার জানিয়েছিলেন। কিন্তু অমর্ত্যবাবু তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বলে বিশ্বভারতীর তরফে দাবি করা হয়। এক্ষেত্রে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠির মাধ্যমে তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন পাশে থাকার। সেই চিঠি প্রত্যুত্তরে অমর্ত্য সেন জানান, “‘চিঠিতে আপনার সমর্থনের কথা জানতে পেরে আমি খুব খুশি। এটা শুধু আমাকে স্পর্শ করেনি, আমাকে আশ্বস্ত হয়েছি। আপনার ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও আক্রান্ত মানুষের জন্য আপনি সময় বের করেছেন।”
জমির মাপ ঝোপের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই অমর্ত্য সেনের। বিশ্বভারতী থেকে নব্বই বছরের জন্য লিজ নেওয়া এই পৈতৃক সম্পত্তিতে বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে বাস করছেন পরিবার ,এই নিয়ে এর আগে কখনো সেরকম বচসা হয়নি তাদের মধ্যে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য কে ব্যবহার করছেন কেন্দ্র সরকার বলেই দাবি করেছেন অমর্ত্য সেন।