২৭ জানুয়ারি, বুধবারঃ গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজে অভিষেকের পর এই প্রথমবার তাঁদের মধ্যে কথোপকথন হয় ফোনের মাধ্যমে। রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সাই নাভালনি-র গ্রেফতার, মস্কোর সাইবার ক্রাইম এবং আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলায় রাশিয়ার উস্কানির মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চলে তাঁদের মধ্যে। বাইডেন প্রশাসনের দুই জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

হোয়াইট হাউজ সূত্রে খবর, পুতিনের কাছে আলেক্সাই নাভালনি-র গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ জানান বাইডেন। ইউক্রেনের ওপর হিংসা থামাতেও মস্কো- কে আহ্বান জানান তিনি। দুই নেতার কথোপকথনে বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এই প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি যার মেয়াদ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে শেষ হতে চলেছে, উভয় দেশের উচিত সেই চুক্তি ৫ বছরের জন্যে পুনর্নবীকরণ করার।
২০১০ সালে ওবামা প্রশাসন মস্কোর সঙ্গে ওই চুক্তিতে সামিল হয়েছিল। এই পদক্ষেপ ওবামা প্রশাসানের একটি বড় রাজনৈতিক বিজয় হিসাবে গণ্য করা হয়। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ নিউ স্টার্ট ট্রিটি নামের এই চুক্তি।
রাশিয়ার বিষয়ে বাইডেনের অবস্থান তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের পুরোপুরি বিপরীত। পুতিনের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক নিয়ে আনন্দিত ছিলেন ট্রাম্প। অন্যদিকে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছাড়াও অন্যান্য কারণে মস্কোর প্রতি ক্ষুব্ধ বাইডেন। তবে এ দিনের ফোনে কথোপকথনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাইডেনকে অভিনন্দন জানান পুতিন। দুই নেতাই দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হন। মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পূর্বে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের চার মিত্র দেশ তথা কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে অভিষেকের পর ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রথম কোনও বিশ্বনেতা হিসেবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ফোন করেন। পরদিন দীর্ঘ সময়ের কথোপকথন চলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনে উভয় দেশের বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।