নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর : একেই করোনা সংক্রমনের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে তমলুকে, তারপর সাফাই কর্মীদের কর্মবিরতি নিয়ে নাজেহাল তমলুকবাসি । করোনার প্রাক্কালে সাফাই কর্মীদের কর্মবীরতি,ফলে পরিষ্কার হচ্ছে না জঞ্জাল। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ময়লা জমে দুর্গন্ধের শিকার পৌরবাসি, অবশেষে ডাস্টবিন ভ্যান ও সহকর্মী দের সাথে নিয়ে ময়লা পরিস্কার করতে রাস্তায় নেমে ছিলেন পুরো প্রশাসক দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়। এমনটা দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পরেন পুরসভার সাফাই কর্মিরা। বেশ কিছুদিন ধরেই নিজেদের দাবি মেটাতে সামরিক ইস্তফা দিয়েছেন সকলেই কাজে । এই পরিস্থিতিতে নাজেহাল হচ্ছেন তমলুকের পৌরবাসী, তাই পুরো প্রশাসকের দায়িত্ব সামলাতে এবার নিজেই হাতে বেলচা তুলে ধরেন তিনি । তিনি জানিয়েছেন দাবি থাকতেই পারে তবে এলাকার মানুষকে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে সে কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ময়লা তুলতে বাধা দেওয়া হয় পুর প্রশাসকে। ঘটনা স্থলে পৌঁছয় এসডিপিও সহ বিশাল পুলিশবাহিনী , শুরু হয় র্্যাফ ও সাফাই কর্মীদের ধস্তাধস্তি।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/5-3-1024x559.png)
প্রসঙ্গত ২ দিন আগে থেকে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা জঞ্জাল পরিষ্কার না করে একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়ে ছিল সাফাই কর্মীরা। গত কাল তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়ে ছিলেন পুরসভার গেটের সামনে। তবে কয়েক দিন ধরে বাড়ি-বাড়ি ময়লা-আবর্জনা না আনতে যাওয়া এবং রাস্তাঘাটে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করার ফলে রাস্তা ঘাটের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ছিল সাধারণ মানুষ জন। আজ সকালে বাধ্য হয়ে তাম্রলিপ্ত পৌরসভায় বড় বাজার সংলগ্ন এলাকায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে যান পৌরসভার মুখ্য চেয়ারপারসন দীপেন্দ্র নারায়ন রায় সহ বোর্ডের বেশ কিছু সদস্যরা, এরপর এই কাজে বাধা দেয় সাফাই কর্মীরা। দু’পক্ষের ধাক্কা ধাক্কিতে ঘটনা স্থলে আসে তমলুক থানার আই সি শমীত ভট্টাচার্য ও পুলিশ বাহিনী, এরপরেও গণ্ডগোল না থামায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে আসেন এস ডি পি ও অতীশ বিশ্বাস। সাফাই কর্মী ইউনিয়নের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ, পরে সমস্ত বিক্ষোভ কারীদের হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশ।