কুসংষ্কার-গণধর্ষণ-শিশু হত্যা, নারকীয়তার সমস্ত নজিরকে ছাপিয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের কানপুরের শিশু খুনের ঘটনা। ৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ করে খুনের পর শরীর থেকে বের করে নেওয়া হল ফুসফুস। শিউড়ে ওঠার মতো এই খুনের সঙ্গে কালাজাদুর মত কুসংস্কার জড়িয়ে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

জানা গিয়েছে, দিওয়ালির রাতে ঘাতমপুর এলাকায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাজি কিনতে গিয়েছিল বছর ছয়েকের মেয়েটি। অভিযোগ, তখনই শিশুটিকে অনুকূল কুরিল ও বীরান নামে দুই ব্যক্তি অপহরণ করে। শিশুটিকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে শিশুটির দেহ থেকে ফুসফুস বের করে নিথর দেহটি জঙ্গলেই ফেলে রাখা হয়। ঘটনায় প্রথমে অনকূল ও বীরেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সোমবার মূলচক্রী পরশুরাম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সব জেনেও চুপ করে থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে পরশুরামের স্ত্রীকেও।

অন্যদিকে, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পরশুরামের স্ত্রীর সন্তানধারণের জন্য দরকার একটি শিশুর ফুসফুস। এমনই নারকীয় কুসংষ্কার থেকে অপহরণের ছক কষেছিল পরশুরাম কুরিল। যেমন ভাবা তেমন কাজ। খুনের পর শিশুটির ফুসফুস পরশুরামের হাতে তুলে দেয় অভিযুক্তরা। জানা গেছে ঘটনার সময় প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিলেন। এই নারকীয় ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তরপ্রদেশের বুলেন্দশহরে এক ধর্ষিতা ছাত্রী পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের তদন্তে অনীহার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হন। যদিও এই ঘটনার পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে, বুলেন্দশহরেই ধর্ষণে অভিযুক্তর পরিবারের লোকজন প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আরেক তরুণী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিগৃহীতা।

একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় বারবারই শিরোনামে যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। কয়েকদিন আগেই হাথরস গণধর্ষণে খবরের শিরোনামে উঠে আসে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একাধিক ঘটনায় যোগীর রাজ্যের শিশু ও মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।