ব্রিকসের ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সন্ত্রাসবাদে মদতের জন্য নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করেন তিনি। এদিন সওয়াল করেন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কার নিয়েও। এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। চিনের সামনেই মোদির বক্তব্যে সায় দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এদিন মোদির ভাষণে উঠে আসে সন্ত্রাসবাদ থেকে করোনার ভ্যাকসিন, বহুত্ববাদ থেকে আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কার, এদিন ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনেতাদের সামনেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলির সংস্কারের দাবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘বর্তমানে বিশ্বে সবথেকে বড় সমস্যা হল সন্ত্রাসবাদ। যে দেশগুলি জঙ্গিদের সাহায্য এবং সমর্থন করে, তাদের দোষী সাব্যস্ত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ একইসঙ্গে ‘বন্ধু’ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মোদি চিনকেও তোপ দেগেছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সময়ের সঙ্গে বদলায়নি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলি। আর তাই এদের গ্রহণযোগ্যতা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দ্রুত WTO, IMF, UN, WHO-এর সংস্কার প্রয়োজন।” এদিন মোদি আশ্বাস দেন, আগামী বছর ব্রিকসের সভাপতি হিসেবে সন্ত্রাসবিরোধী কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে নয়াদিল্লি। প্রসঙ্গত ছলে-বলে-কৌশলে চিন বিশ্বে একাধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে বিভিন্ন দেশ। এদিন সেই চিনের রাষ্ট্রনায়েকের সামনেই বিশ্বে বহুত্ববাদের পক্ষেও সওয়াল করলেন মোদি। এদিন পুতিনও মোদির কথা সমর্থন করে বলেন, কয়েকটি দেশ হল ‘পরিবারের কুলাঙ্গারের’ মতো। সেইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি সন্ত্রাসবাদের মতো সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে বিশ্বের কোনও দেশ ন্যূনতম আত্মতুষ্টি দেখাতে পারবে না।

পাশাপাশি এদিন ফের করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন আনতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, মহামারী পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ভারত। এদিন মোদির মত পুতিনও করোনা নিয়ে বলেন, ভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বিশ্বের সব দেশকে একইরকম উদ্যোগ নিতে হবে।