অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাগনানের সামতাবেড় গ্রামের বসতভিটেতে নৈশপ্রহরীর ব্যবস্থা করা হল। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের উদ্যোগ এই ব্যবস্থা নেওয়া হল। ১৯২৪ থেকে ১৯৩৮ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ বছর ওই এলাকায় কাটিয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক।
ওই বাড়িতে বসেই তিনি লিখেছিলেন মহেশ,অভাগীর স্বর্গ ও দেবদাসের মতো অজস্র গল্প।
আজও বাড়িটিতে সংরক্ষিত রয়েছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের দেওয়া কষ্টিপাথরের রাধাগোবিন্দ মূর্তি সহ একাধিক বহু মূল্যবান সামগ্রী। যা দেখতে সারাবছরই ভিড় জমান পর্যটকরা।
সরকারি ভাবে বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণার পর থেকে সব রকম দেখভালের দায়িত্ব সামলান কেয়ারটেকার দুলাল মান্না নামে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। প্রতিদিন প্রচুর পর্যটকদের ভিড় সামলানোর পাশাপাশি রাতের নজরদারি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছিল দুলাল বাবুর পক্ষে। বারবার নৈশপ্রহরীর চাওয়ার দাবি করে আসছিলেন তিনি। সেই মত চারিদিক বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
অভিযোগ, এর আগে এমন একটি হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তায় দাবিতে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি কেয়ারটেকার দুলাল মান্না প্রশাসনের সমস্ত স্তরে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে গ্রামীণ হাওড়া জেলার পুলিশ সুপার সৌম্য রায় ও বাগনান থানার আইসির সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হওয়ায় খুশি এলাকায় সমস্ত বাসিন্দারা।