একদিকে বৃহস্পতিবার আচমকাই শতাব্দী রায়ের ফ্যান্স পেজে তাঁর করা একটি পোস্ট ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অপরদিকে জল্পনা চলছে টলিপাড়া থেকে রাজনৈতিক মহলে । অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়েও চর্চা তুঙ্গে । সম্প্রতি রুদ্রনীলের জন্মদিনে ফুল নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে নানা রকমের মিম- রুদ্রনীল রং বদলাচ্ছেন । যদিও তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,”কেউ মিম বানাতেই পারেন। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। আমি কোনওদিন তৃণমূলে রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে যোগ দিইনি।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তাকে কোনো রাজনৈতিক নয় বরং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। বিউরোক্রেটরা যেমন দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক তেমনই। সেক্ষেত্রে কোন ভুলত্রুটি দেখলে তিনি প্রশ্ন করেছেন, এমনকি ঝগড়াও করেছেন তবে তার জন্য কোনো পলিটিক্যাল পার্টিতে যোগদান করার প্রয়োজন হয় বলে তিনি মনে করেন না।
এদিকে শতাব্দী রায় তার ফ্যান ক্লাবের পেজে একটি দীর্ঘ পোষ্টের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন তিনি গভীরভাবে শোকাহত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন কিছু ঘটনায়। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন বহুদিন ধরেই অভিনয় জগৎ ছেড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চলে এসেছেন তিনি , প্রতিনিধিত্ব করেছেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে, দূরে রয়েছেন নিজের পরিবারের থেকে। মাঝেমধ্যেই নানান কর্মসূচিতে তাকে দেখতে না পাওয়ার পেছনে অনেক প্রশ্ন উঠেছে । যদিও তার উত্তরে তিনি বলেছেন প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি এতদিন ধরে, তিনিও থাকতে চান এই সব কর্মসূচিতে, কিন্তু হয়তো অনেকেই চান না তার এই উপস্থিতি । সেক্ষেত্রে তিনি অনেক কর্মসূচির খবর পাননি তাই উপস্থিত হওয়ার কোন প্রশ্নই উঠছে না। এই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই যদি কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নেন তাহলে তিনি তা জানিয়ে দেবেন। এমনকি তিনি এও বলেছেন সাধারণ মানুষ তাকে সাংসদ করার আগে থেকেই তিনি শতাব্দি রায় হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তাদের মাঝে।
একদিকে শতাব্দি একদিকে রুদ্রনীল তাহলে কি এবার ভাঙ্গন ধরেছে তৃণমূলের আর এক অংশেও ? টলি পাড়া থেকে রাজনৈতিক মহল সর্বত্র একই আলোচনা।