চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিভাগ রয়েছে ভারতের। গত বছরেই গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে তিনি সঙ্গে সংঘর্ষে শহীদ হয়েছিলেন বেশকিছু ভারতীয় সৈনিক। কড়া জবাব দিয়েছিল ভারতীয় সেনাও। সেই বিভাগ এখন কিছুটা স্তিমিত হলেও চীনের আগ্রাসী নীতির সমাপ্তি হয়নি। তাই এবার লাল ড্রাগনকে শায়েস্তা করতে বড় পদক্ষেপ নিল নয়াদিল্লি।ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের বরাবরের স্বপ্ন ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার। শুধু তাই নয় দক্ষিণ চীন সাগর বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রাখতে যথেষ্ঠ আদর্শ নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং সেই নিয়ে ইতিমধ্যে নানান মতবিরোধ রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিংয়ের মধ্যে। সেই কারণে বিশাল বিশাল সামরিক পরিকাঠামোর দক্ষিণ চীন সাগর সৌভাগ্যের নিজেদের বলে দাবি করতে তৎপর চীনকে শায়েস্তা করতে পাল্টা আণবিক শক্তি চালিত রণতরী পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবারে তার সাথে হাত মেলানো ভারত।

সূত্রের খবর এই মাসেই টহলদারী জন্য ভারতীয় নৌসেনার ইস্টার্ন ফ্লিটের টাস্কফোর্সকে দক্ষিণ চীন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পাঠানো হয়। এখানেই শেষ নয় অন্যান্য দেশগুলোর মতো সজ্জাতেও অংশ নেবে ভারত। যাদের মধ্যে রয়েছে রয়েল মালয়েশিয়ান নেভি, ভিয়েতনাম নৌসেনা, ফিলিপিন্সের নৌসেনা, সিঙ্গাপুর নৌসেনা, ইন্দোনেশিয়ার নৌসেনা এবং অস্ট্রেলিয়ার নৌসেনা।বিশাল জলভাগে চীনের আধিপত্যের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছে ভারতও। ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ মেনেই এবার দক্ষিণ চীন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মোতায়েন করছে ভারত। এই রণতরী গুলির মধ্যে রয়েছে গাইডেড মিসাইল ধ্বংসকারী রণবিজয়, গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট শিবালিক, আন্টি সাবমেরিন কোরভেত্তে ক্যাডমাট এবং কোরভেত্তে কোরা।