দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক, তারপর জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে স্নাতকোত্তর পাস, এমফিল করেছেন তার সঙ্গে আমেরিকার বিদেশ নীতি বিষয়ে ডক্টরেট তিনি। ইউপিএসসিতে সারা দেশের মধ্যে ৮৫ তম স্থান অর্জন করলেন।দারুন মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্বেও কোন কোন আরামের চাকরি বাদ দিয়ে বেছে নিলেন আইপিএস অফিসারের পদ। ইনি হলেন আইপিএস অফিসার সংযুক্তা প্রসার।বরাবরই আইপিএস সংযুক্ত স্পষ্টবাদী বলে পরিচিত। এমনকি পিছপা হননি দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে। একবার সরকারি গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন সংযুক্তা। সেই সময় দিল্লি পুলিশ তাঁকে আটকায়। পরিচয় দেওয়ার পরেও দিল্লি পুলিশ বিশ্বাস করতে চাইনি যে তিনি একজন আইপিএস আধিকারিক। আর তখনই পুলিশের এই ব্যবহারে তাদের বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ আনেন সংযুক্তা। এবং বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিল দিল্লি পুলিশ।

২০০৮ সালে তারঁ প্রথম পোস্টিং ছিল মাকুমে। তখন বড় জঙ্গিদের সঙ্গে রীতিমতো সংঘর্ষ চলছে বাংলাদেশি শরণার্থীদের। তখন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট পদে নিযুক্ত হওয়া সংযুক্তাকে পাঠানো হয় উদয়গিরিতে তাদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য। আর সেই সময় নাকি হাতে এ কে ফরটিসেভেন নিয়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। দেড় বছরে তাঁর হাতে প্রাণ যায় ১৬ জন জঙ্গির। তার সঙ্গেই গ্রেপ্তার করে ছিলেন প্রায় ৬৪ জন জঙ্গিকে।তবে সংযুক্তার চরিত্রের শুধু যে কাঠিন্য রয়েছে তেমনটা কিন্তু নয়। রাস্তায় হেলমেট পড়ে না বেরোলে বাইক আরোহীদের লজেন্স দিতে হবে এমন নিয়ম চালু করেছিলেন এই সংযুক্তাই। আবার কলেজে ইভটিজিং কমাতে গেটের সামনে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করার পরামর্শ এই আইপিএস অফিসার সংযুক্তা প্রসারই দিয়েছিলেন। আপাতত দিল্লিতে কর্মরত আইপিএস এসআরকে আসাম বাঁশি অনেকেই লৌহ কন্যা বলেও সম্বোধন করে থাকেন।