দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের বদলি নীতি নিয়ে ক্লান্ত চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্য। অবশেষে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘আর পারছিনা। আমার শান্তি কোথায়? জব রেসিগ্নেশনে?’ জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য দপ্তরে কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এই একই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি। তার পরবর্তীতে, বদলি হলেও কোন পদোন্নতি হয়নি। সবমিলিয়ে রাজ্য সরকারের বদলি নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। অবশেষে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন । অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় অবন্তিকাকে উদ্ধার করা হলে, তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে এসএসকেএমের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে সমস্ত যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে চলে গেলেন অবন্তিকা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিকিৎসক অবন্তিকার স্বামীও পেশায় একজন চিকিৎসক। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে প্র্যাকটিস করছেন তিনি। একসময় তিনিও সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তবে বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে চাকুরী ছেড়ে ব্যক্তিগতভাবে প্র্যাকটিস করছেন তিনি। এবার প্রশ্ন হঠাৎ কেন আত্মহত্যা করলেন অবন্তিকা? অবন্তিকা গত আট বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে কর্মরত ছিলেন। তার একটি আট বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে, যে অটিজিমের শিকার। তাই নিজের সন্তানের দেখভালের জন্য বেশ কয়েকবার কলকাতায় বদলি চেয়েছিলেন তিনি। খোদ কলকাতায় বদলে দিতে না পারলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবারের বদলি করে দেওয়া হয় অবন্তিকাকে । যা নিয়ে যথেষ্টই অবসাদ গ্রস্থ অবস্থায় ছিলেন অবন্তিকা। অবশেষে কোন আশা না খুঁজে পেয়ে আত্মহত্যাকেই সহজ পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।