আইসিস ঘাটিতে হানা দিল মার্কিন সেনাবাহিনী। জানা যাচ্ছে, অতর্কিতে হামলা করা হয় মার্কিন সেনাবাহিনীর তরফে। কাবুল প্রদেশের বিমানবন্দরের সামনে ভয়াবহ হামলার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন সেনাবাহিনীর ড্রোন হানা হয় আফগানিস্থানে। বিখ্যাত এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানতে পারা গেছে, মূলত ইসলামিক স্টেট অব ইরাকের উচ্চপদস্থ নেতাদের উদ্দেশ্য করেই এই ড্রোন হামলা চালিয়েছে মার্কিন সৈন্যরা। ওদিকে এই প্রসঙ্গে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের তরফে ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, ”আমাদের তরফ থেকে হওয়া এয়ার স্ট্রাইকের কোন বিশেষ নাম ছিল না। মূলত আমরা হানা দিয়েছিলাম আফগানিস্তানের নানাগহর প্রদেশ নামক একটি এলাকায়। প্রাথমিক পর্যায় পাওয়া তথ্য অনুসারে বলতে পারি তাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যকে নিকেশ করেছি। এছাড়াও আমি নিশ্চিত করছি ,এই ঘটনায় কোন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়নি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কথা মার্কিন প্রশাসনের। ঠিক তার আগেই কাবুল বন্দরে ভিড় করতে থাকেন দেশের সাধারণ নাগরিকরা। যদি এই প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরে এক বিশেষ সাবধানতা জারি করা হয়েছিল। আশঙ্কা করা হয়েছিল বিপুল মানুষের ভিড় থাকার কারণে সেখানে যে কোন জঙ্গি হামলা হতে পারে। তবে অবশেষে সন্ধ্যে নাগাদ সমস্ত ধারণা সত্যি প্রমাণ করে পরপর বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটে । যার ফলে মৃত্যু হয় একশোর বেশী সাধারণ মানুষের। যদিও এই প্রসঙ্গে জানা যায়, এই বিস্ফোরণের পিছনে আছে আইএসআইএস (কে) জঙ্গিগোষ্ঠী। যার ফলে মৃত্যু হয় ১৭ জন মার্কিন সেনার। আর এই প্রেক্ষিতে আমেরিকার বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেন, এই ঘটনার দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে। আর সেই কথার বাস্তবায়ন ঘটল গতকাল রাত্রেই।